চুরমার হয়ে গেল রোহিতদের বিশ্বজয়ের স্বপ্ন। বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেই শেষ হল টিম ইন্ডিয়ার যাত্রা। ভারতকে কার্যত দুরমুশ করে ফাইনালে পৌঁছলেন বাটলাররা। রবিবার ফাইনালে পাক-ইংল্যান্ড দ্বৈরথ দেখবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। আজ টসে জিতে রোহিতদের ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার। এদিনও নিষ্প্রভ হয়ে রইলেন ভারতের ওপেনাররা। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ক্রিস ওকসের বলে ব্যক্তিগত ৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কে এল রাহুল। এরপর নামেন বিরাট। ৫ ওভার শেষে ভারতের স্কোর হয় ৩১/১। ২৮ বলে ২৭ রান করে আউট হন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে থাকা সূর্যকুমার যাদব আজ বেশি রান পেলেন না। ১০ বলে ১৪ রান করে আউট হন ‘স্কাই’। এরপর ইনিংসের হাল ধরেন বিরাট ও হার্দিক।
উল্লেখ্য, আজ সেমিফাইনাল ম্যাচেও ভারতকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের করে আনলেন বিরাট। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের ৩৭তম হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি। এদিন আরও এক নজির গড়েন বিরাট। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৪,০০০ রান পূর্ণ করলেন তিনি। একটি ছক্কা ও চারটি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। তবে ৫০ রানেই ক্রিস জর্ডনের বলে আউট হন তিনি। অন্যদিকে রুদ্রমূর্তিতে ব্যাট করে গেলেন হার্দিক। ৩৩ বলে ৬৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের রান লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন হার্দিক। চারটি চার ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল হার্দিকের ইনিংস। ভারতের ইনিংসের শেষ বলে হিট উইকেট হন হার্দিক। তিনটি উইকেট পান জর্ডন।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন দুই ইংরেজ ওপেনার বাটলার ও হেলস। ৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৫২। ২৮ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন অ্যালেক্স হেলস। ১০ ওভার শেষ ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৯৮। ৩৬ বলে ছক্কা হাকিয়ে হাফসেঞ্চুরি করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার। চার ওভার বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন বাটলাররা। বাটলার ও হেলস যথাক্রমে ৮০ ও ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন অ্যালেক্স হেলস। দশ উইকেটে লজ্জার হার হজম করতে হল ভারতকে। অধিনায়কত্ব ও প্রথম একাদশ নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।