রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও কেরালা। দুই রাজ্য সরকারেরই অভিযোগ, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের অসহযোগিতা ও হস্তক্ষেপের ফলে থমকে গিয়েছে প্রশাসনিক কাজ।
অ-বিজেপি শাসিত অনেক রাজ্যেই রাজ্যপালদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বনিবনা হচ্ছে না। কেরালা, তামিলনাড়ুর মতোই তেলেঙ্গানাতেও বিরোধ লেগেই আছে। জগদীপ ধনকর উপ রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে পর্যন্ত বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে তাঁর ভূমিকা বারেবারেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন লড়াই জারি রেখেছিলেন তিনি। কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান ছাপিয়ে গিয়েছেন ধনকরকেও, এমনটাই মত প্রশাসন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের।
তামিলনাড়ুতে রাজ্যপাল এন রবির বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বেশ কিছু বিল তিনি আটকে রেখেছেন। রাজভবনের সম্মতি না মেলায় সেগুলি আইন হিসাবে কার্যকর করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির জন্য রাজ্যের নিজস্ব প্রবেশিকা পরীক্ষার ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিল। ওই বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রয়োজন। কিন্তু বছর ঘুরতে চলল রাজ্যপাল বিলটি রাষ্ট্রপতি ভবনেই পাঠাননি।
তামিলনাড়ুর মতো কেরালাতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপাল-আচার্যের ক্ষমতা খর্ব সংক্রান্ত বিলও রাজ্যপালরা আটকে রেখেছেন। এরমধ্যেই কেরলের রাজ্যপাল নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পদত্যাগের নির্দেশ জারি করেছেন। হাইকোর্ট রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করলেও অচলাবস্থা কাটেনি। উপাচার্যরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।