দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে বিগত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাচ্ছে তাঁর দল। গতকাল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে জাফর আলি চকে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনিও। আর সেখানেই ভরা জনসভায় গুলি চলে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপরে। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেও, গুরুতর আহত হয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান নেতা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমরান খানের পায়ে গুলি লেগেছে। বর্তমানে তিনি লাহোরের শৌকত খান্নুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুস্থ হতে বেশ অনেকদিনই সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে বিগত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাচ্ছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে জাফর আলি চকে ‘স্বাধীনতা’ পদযাত্রা চলছিল। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন ইমরান। কন্টেনারের উপরে দাঁড়িয়ে ইমরান খান যখন বক্তব্য রাখা শুরু করেন, সেই সময়ই আচমকা অজ্ঞাতপরিচয় এক আততায়ী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হন ইমরান সহ পিটিআইয়ের একাধিক নেতারা।
সঙ্গে সঙ্গে কন্টেনারের ছাদ থেকে নামানো হয় ইমরান খানকে। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমরান খানের ডান পায়ে চারটি গুলি লেগেছে। বর্তমানে তিনি লাহোরের শৌকত খান্নুন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য দেশের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ ফয়সল সুলতানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। অপর একটি সূত্রের খবর, গতকাল রাতেই পায়ে অস্ত্রোপচার হয় ইমরান খানের। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন, তবে আগামী তিন সপ্তাহ হাঁটাচলা করতে পারবেন না। সম্পূর্ণ বিশ্রামেই থাকতে বলা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।