চোখের চিকিৎসার জন্য উৎসবের মরসুমে দেশের বাইরে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসা করে ফিরে এসে শুক্রবার প্রথম কর্মসূচীতে যোগ দেবেন অভিষেক। বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে পঞ্চায়েতের আগে পুরোপুরি জনসংযোগ সেরে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোন এলাকায়, কী কী সমস্যা রয়েছে তার আঁচ পেল তৃণমূল।বহু জায়গাতেই পুরানো কর্মীদের ময়দানে নামাল শাসক দল। এই অবস্থায় আজ নিজের সংসদীয় এলাকায় বিজয়া সম্মিলনী করতে চলেছেন অভিষেক।
পুজোর পর দলের এই বিজয়া সম্মিলনীর সভাগুলি হয়ে উঠেছে কার্যত জনসংযোগ সভা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। মঞ্চে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে৷ তাঁদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
প্রথমত, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের ঐক্যবদ্ধ চেহারাটা চোখে পড়ছে সব সভায়। দ্বিতীয়ত, সভাগুলিতে রাজ্য কমিটির একজন অন্তত নেতা উপস্থিত থাকছেন। তৃতীয়ত, ১৯৯৮ সাল অর্থাৎ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার দিন থেকে যাঁরা দলের সঙ্গে ছিলেন সেই পুরনো নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। চতুর্থত, দলের সর্বস্তরের সাংগঠনিক নেতৃত্ব থাকছেন মঞ্চে।
সবমিলিয়ে দলের নতুনরা তো আছেনই, সঙ্গে পুরনো সিনিয়র নেতা-নেত্রীরাও বিজয়া সম্মিলনীর সভায়-মঞ্চে যথাযথ মর্যাদায় উপস্থিত থাকায় ও মাঠে নামায় সভাগুলির গুরুত্ব যেমন বাড়ছে, তেমনই ধারে ও ভারে বিরোধীদের বুঝিয়ে দেওয়া যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসই বাংলার মানুষের কাছে একমাত্র বিকল্প। অন্য কোনও দল নয়। সভাগুলি পরিণত হচ্ছে সমাবেশে।