পঞ্চায়েত ভোটের আগে মেদিনীপুর জেলায় দলের কাজে সহযোগিতা করার জন্য কুণাল ঘোষকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। আর দায়িত্ব পেয়ে প্রথম দিনেই নন্দীগ্রামে বিজেপির ঘরে ধস নামিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র। যারা গত বিধানসভা ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী স্তম্ভ ছিল, সেই বটকৃষ্ণ দাস ও জয়দেব দাসদের কার্যত তৃণমূলে ফেরার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন তিনি। বস্তুত এর পরই জেলায় কুণালের পা রাখা নিয়ে কার্যত প্রমাদ গুনে কুরুচিকর আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা। এবার তারই পালটা দিয়ে সারদা ইস্যু নিয়ে শুভেন্দুকে মুখোমুখি প্রকাশ্য বিতর্কে বসার চ্যালেঞ্জ জানালেন কুণাল। শুধু তাই নয়, কুণালের ঘোষণা, কলকাতা প্রেস ক্লাবের মতো কোনও জায়গায় ওই বিতর্ক হোক সমস্ত টিভি চ্যানেল ও সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে।
বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যখনই কোনও রাজনৈতিক ইস্যুতে বিপাকে পড়ে উত্তর খুঁজে পায় না শুভেন্দু অধিকারী আর ঠিক তখনই সারদা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য হাজির করে পালিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে তখন আমায়ও পালটা উত্তর দিতে হয়। এত কিছু বলার বা জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু সারদা নিয়ে একদিন খোলাখুলি, মুখোমুখি বিতর্কে বসতে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি শুভেন্দু অধিকারীকে। কেন আর পিছনে এত নানা মন্তব্য করবেন, টিপ্পনি কাটবেন। সামনাসামনি বসে কথা হোক। আর এই বিতর্কটা টিভি চ্যানেলে লাইভ টেলিকাস্ট হোক।’ উল্লেখ্য, ইডি’র টাকা ফেরত দেওয়ার তথ্য তুলে তুলে কুণালকে চোর বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। পালটা জবাব দিয়ে কুণাল বলেন, ‘ইডিকে টাকা ফেরত দেওয়ায় আমি যদি ওর বিচারে দোষী হই তা হলে তো মিঠুন চক্রবর্তীও চোর। কারণ, মিঠুনও তো ইডির মাধ্যমে সারদার টাকা ফেরত দিয়েছেন। তা হলে তো মিঠুনকেও চোর বললেন বিরোধী দলনেতা।’