নজরে ছিলই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিলিগুড়ির বিজয়া সম্মেলন। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে এই বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই মঞ্চকে ব্যবহার করেই আলাদা উত্তরবঙ্গের দাবিকে রীতিমতো ভোঁতা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, ‘কোনও ভাগাভাগি নয়, বঙ্গভঙ্গ নয়, আমরা চাই সঙ্গ। আমার ভালোবাসার উত্তরবঙ্গ। কোনও প্রারাচনায় পা দেবেন না। আমরা সবাই এক আছি বলে শান্তি বিরাজ আছে। আমি রাজবংশী ভাষাও জানি।’
এবারের সফরের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন মালবাজারের দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের বাড়িতে তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। সেই প্রসঙ্গও এদিন উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ”মালবাজারের ঘটনার সব পরিবারের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করেছি। যারা যারা চাকরি করতে চায়। ওই সময়ে বিজয়া ছিল, দশমী ছিল। যে ঘটনাটা ঘটে গেছে, তার জন্য খুব মর্মহত। আমি সবাইকে পাঠিয়েছিলাম।’
এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘আমি সব থেকে বেশি উত্তরবঙ্গে আছি। ২ মাসে অন্তত একবার আসি। নর্থ বেঙ্গল, সাউথ বেঙ্গল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। আমরা এখানে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এখানে অনেক কিছু বানিয়েছি। টুরিজম ডেস্টিনেশনের জন্য সম্মান দেওয়া হয়েছে। মার্চ মাসে যাব এই সম্মান আনতে। দুর্গাপুজোর জন্য আমরা সম্মান পেয়েছি। কিন্তু এই সম্মানটা অনেক বড়।’
উত্তরবঙ্গের মন বুঝেই মমতা বলেন, ‘যতটা পেরেছি চেষ্টা করেছি এই জায়গাতে সব কিছুর ব্যবস্থা করতে। ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ সম্মান দিয়েছে। আমরা প্রায় ৬ হাজার ক্লাবকে এখানে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছি। বাংলায় ৮৩ হাজার পুজো হয়েছে।’