গত বছর অক্টোবর মাসে মাদক কাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। মাদক কাণ্ডে জড়িয়ে প্রায় ২৬ দিন হাজতবাসও করেছিলেন তিনি। যদিও শেষমেশ প্রমোদতরীতে মাদক নেওয়ার মামলায় তাঁকে ক্লিনচিট দেয় এনসিবি। তবে ওই মাদকের সঙ্গে বিদেশের মাদক পাচার চক্রের সম্পর্কে জুড়ে দিয়েছিল কোনও কোনও মহল। এ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল বলিউড-সহ গোটা দেশ। পাশাপাশি এনসিবি প্রধান সমীর ওয়াংখাড়েকে নিয়ে শিবসেনার সঙ্গে কেন্দ্রের চরম টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল। আরিয়ান খানের মাদক মামলায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তদন্তে একাধিক অসংগতি দেখা দিয়েছে। এমনকি ওই তদন্তে এনসিবি-র ৭ অফিসারের ভূমিকাও বেশ সন্দেহজনক। এমনটাই উঠে এসেছে এনসিবি-র অভ্যন্তরীণ তদন্তে। এমনটাই সূত্রের খবর।
এ বছর মে মাসে ওই মাদক মামলায় আরিয়ান খানকে সব অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। আদালতে এনসিবি মাথা হেঁট করে কবুল করতে বাধ্য হয় তাদের কাছে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ও জোরাল কোনও প্রমাণ নেই। সেবার আদালতে মুখ পুড়েছিল এনসিবি-র। এবার তদন্ত গাফিলতি ও নিজের অফিসারদের সন্দেহজনক আচরণে ফের মুখ কালো হল এনসিবির। প্রসঙ্গত, আরিয়ান খানের মাদক পাচার মামলায় তদন্তে গাফিলতি নিয়ে তদন্তের জন্য একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করে এনসিবি। কারণ এ নিয়ে একাধিক অভিযোগে জেরাবর হয়েছিল এনসিবি। বাধ্য হয়েই ভিজিল্যান্সের রিপোর্ট দিল্লীতে পাঠাতে বাধ্য হয়েছিল তদন্ত সংস্থা। দেখা গিয়েছে তদন্তে বহু গোলমাল রয়েছে। এমনকি সংস্থার কয়েকজন আধিকারিকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
![আরিয়ান মামলার তদন্তে সন্দেহজনক ছিল এনসিবি অফিসারদের ভূমিকা, হয়েছিল বিস্তর অনিয়ম! - কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2022/10/WhatsApp-Image-2022-10-19-at-13.35.44-1.jpeg)