হাতে আর বেশিদিন নেই। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্যে। আর সেদিকে চোখ রেখেই এবার বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে জনসংযোগ সেরে ফেলল তৃণমূল। পাশাপাশি, কোন এলাকায়, কী কী সমস্যা রয়েছে তার আঁচও পেল শাসক দল। বহু জায়গায় পুরানো কর্মীদেরও ময়দানে নামাল তারা।
পুজোর পর দলের এই বিজয়া সম্মিলনীর সভাগুলি হয়ে উঠেছে কার্যত জনসংযোগ সভা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। মঞ্চে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে৷ তাঁদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
বিজয়া সম্মিলনী থেকে দলের একাধিক লাভ হয়েছে৷ প্রথমত, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ঐক্যবদ্ধ চেহারাটা চোখে পড়ছে সব সভায়। দ্বিতীয়ত, সভাগুলিতে রাজ্য কমিটির একজন অন্তত নেতা উপস্থিত থাকছেন। তৃতীয়ত, ১৯৯৮ সাল অর্থাৎ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল প্রতিষ্ঠার দিন থেকে যাঁরা দলের সঙ্গে ছিলেন সেই পুরনো নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।
সবমিলিয়ে দলের নতুনরা তো আছেনই, সঙ্গে পুরনো সিনিয়র নেতা-নেত্রীরাও বিজয়া সম্মিলনীর সভায়-মঞ্চে যথাযথ মর্যাদায় উপস্থিত থাকায় ও মাঠে নামায় সভাগুলির গুরুত্ব যেমন বাড়ছে, তেমনই ধারে ও ভারে বিরোধীদের বুঝিয়ে দেওয়া যাচ্ছে তৃণমূলই বাংলার মানুষের কাছে একমাত্র বিকল্প। অন্য কোনও দল নয়। সভাগুলি পরিণত হচ্ছে সমাবেশে।