এই মুহূর্তে সল্টলেকে বিক্ষোভরত ২০১৪ সালের টেট চাকরি প্রার্থীরা। এরই মধ্যে এবার এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ খুললেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা একটা মঞ্চ তৈরি করেছেন। একতা মঞ্চ। তাঁরা আমার কাছে দাবি সনদ পেশ করেছেন। প্রথমত, তাঁরা আমাদের অফিসে মূল গেটের সামনে বসে রয়েছেন। পুলিশের মধ্যস্থতায় তাঁদের চার জন নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের মূল দাবি, ২৯ তারিখ আমরা যে ১১ হাজারের কিছু বেশি পদ রয়েছে বলে বিজ্ঞাপন দিয়েছি, এই বিজ্ঞাপনের নিরিখে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নেবেন না।
পর্ষদ সভাপতির কথায়, ‘দেখা যাচ্ছে ১৬ হাজার ৫০০ পদের প্রেক্ষিতে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, ২৯ হাজার ৬৬৫ জন, তার থেকে ১৩ হাজার ৫৬৪ জনকে যদি নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে নট ইনক্লুডেড ১৬ হাজার ১০১ জন। তাঁরা প্রত্যেকেই টেট উত্তীর্ণ ও ট্রেনিং রয়েছে। নট ইনক্লুডেডদের যদি নিয়োগ দিতে হয়, তাহলে কি সেটা আইনানুগভাবে সঙ্গত? ২০১৭ সালের টেট বিজ্ঞাপনে টেট পাশ করেছেন, যাঁদের ট্রেনিং ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরাও কিন্তু দাবিদার। আমি বিজ্ঞাপন করেছি ২০২২ সালে। তাহলে আমাকে ২০১৬ সালের যে রিক্রুটমেন্ট অ্যাক্ট সংবিধি ও আইন মেনে নিয়োগ করতে হবে।’
তাঁর সংযোজন, ২০২১ সালে কিন্তু ‘১৭ সালের টেট পাশ ক্যান্ডিডেট ছিল না। তখন মুখ্যমন্ত্রী যে ১৬ হাজার ৫০০ পদ তৈরি করেছিলেন, সেখানে ২০১৭ সালের টেট পাশের ক্যান্ডিডেট ছিল না। সেখানে ছিল ২০১৪ সালের টেট পাশ ক্যান্ডিডেট। তার আগে কিন্তু ৪২ হাজার ৬২৭ জন চাকরিতে নিয়োগ হয়েছিলেন। আজকে যাঁরা নট ইনক্লুডেড ক্যান্ডিডেট তাঁরা কিন্তু পরপর দু’বার ইন্টারভিউ দেওয়ার অর্থাৎ রিক্রুটমেন্ট প্রসেসে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন। তা সত্ত্বেও তাঁরা নথিভুক্ত হননি।
তিনি জানান, আমি গতকালই চার নেতৃত্বকে অনুরোধ করেছি, আপনারা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। ২০১৬ সালের আইন মোতাবেক আমি বলতে পারব না, এই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র আপনারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা পারবেন না। নিয়ম অনুসারে ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা, যদি তাঁদের বয়স থাকে, তাঁরা এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। গৌতমবাবুর আহ্বান, ‘যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদেরকে অনুরোধ করছি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আইন মেনে কাজ করবে। নিয়োগে শুধুমাত্র তাঁরাই অংশ নিতে পারবেন, এটা আইনসঙ্গত নয়।
এরপরই তিনি কোনও রাখঢাক না রেখে বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বহুস্তরীয় কিংবা একস্তরীয় কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, তাঁরা কিন্তু যেন তেন প্রকারেণ এই আন্দোলনের পিছনে অনুপ্রাণিত করছেন। আগামী দিনে বোর্ড যে নিয়োগ করতে যাচ্ছে, সেটাকে বাধা দিয়ে এই আন্দোলনকে জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। আমার কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে।’