বিজয়া দশমীর দিন মালবাজারে মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতি বাংলাবাসীর মনে এখনও দগদগে। প্রতিমা বিসর্জন চলাকালীন মাল নদীতে আকস্মিক হড়পা বানে ভেসে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। আর সেদিন অনেকের সামনেই মসীহা হয়ে এসেছিলেন জলপাইগুড়ির পশ্চিম তেশিমিলার বাসিন্দা মহম্মদ মানিক ও তাঁর সঙ্গীরা। নিজেদের জীবনকে অনিশ্চয়তায় ঠেলে বাঁচিয়েছিলেন কয়েকজনের জীবন। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে মালবাজারে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মানিক-সহ যে যুবকেরা মাল নদীর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাস থেকে অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন, তাঁদের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করলেন মমতা। হাতে তুলে দিলেন সরকারি শংসাপত্রও। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে ১ লক্ষ টাকার চেক পেয়েছেন মানিক। তাঁকে গ্রুপ-সি অথবা কনস্টেবলের চাকরির প্রস্তাবও দিয়েছেন মমতা।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মানিকদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘সরকারের কাছ থেকে তোমরা কি কিছু আশা করছ?’’ এই প্রস্তাব পেয়ে কেউ কেউ একটা কাজ চান। তাঁদের সবাইকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘‘নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার সময় চিন্তা করিনি যে, আমি মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্তও পৌঁছে যাব। নিজের কাছে থাকা মোবাইলটা বন্ধুকে দিয়ে দিয়েছিলাম। ওই ভয়ঙ্কর জলের স্রোত থেকে ৯ থেকে ১০ জনের জীবন বাঁচাতে পেরেছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে, এটা কখনও কল্পনা করিনি। এত কাছ থেকে কোনও দিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখব, সেটাই তো ভাবিনি’’, জানান আপ্লুত মানিক।