অন্তর্কলহ পিছু ছাড়ছে না পদ্ম-পরিবারের। হিমাচল প্রদেশে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই টিকিট বণ্টন নিয়ে বিজেপির অন্দরে তুঙ্গে পৌঁছল গোষ্ঠীকোন্দল। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল, দুই শিবিরে কার্যত ভাগ হয়ে গিয়েছে হিমাচল বিজেপি। দুই গোষ্ঠীই নিজেদের শিবিরের লোকেদের জন্য বেশি সংখ্যক টিকিটের দাবি করেছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায়, যে সোমবার দিল্লীর হরিয়ানা ভবনে হিমাচল বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে আট ঘণ্টা ধরে আলোচনা হওয়ার পরেও টিকিট বণ্টনের সমস্যার সুরাহা মেলেনি। এরপর রাতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাসভবনে কোর কমিটির বৈঠক বসে। গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে টিকিট বণ্টন নিয়ে টানাপোড়েন চলেছে বলেই জানিয়েছে সূত্র।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নাড্ডার নিজের রাজ্য হিমাচল। সেখানে ভোটে প্রার্থী হতে টিকিট বণ্টন নিয়ে গোষ্ঠীবিবাদ স্বাভাবিক চিন্তায় ফেলেছে বিজেপিকে। দুই বৈঠকে অন্যান্যদের সঙ্গে যেমন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ছিলেন আবার উপস্থিত ছিলেন ধুমল পুত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুরও। তার মধ্যেই ধুমলের সমর্থকরা সিমলা থেকে দলবেঁধে দিল্লীতে হাজির হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সকালে কোর কমিটির বৈঠকের পরে এদিন রাতেই বিজেপির সদর দফতরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। টিকিট বণ্টনের চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়ার কথা ছিল সেখানেই। কিন্তু কোর কমিটির বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় নির্বাচন কমিটির বৈঠকটি বাতিল করতে হয়েছে এদিন। আজ, মঙ্গলবার বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবস্থা এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে মাত্র ৬৮টি আসনে হিমাচল বিধানসভার প্রার্থী তালিকা দুই পর্যায়ে ঘোষণা করতে পারে গেরুয়াশিবির।
![হিমাচলে ভোট ঘোষণা হতেই বিবাদ বিজেপির অন্দরে - টিকিট বণ্টন ঘিরে চরমে পদ্মশিবিরের গোষ্ঠীকোন্দল](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2022/10/WhatsApp-Image-2022-10-18-at-18.11.15.jpeg)