সম্প্রতি বিসিসিআই থেকে একপ্রকার গদিচ্যুত করা হয়েছে বাংলার ‘দাদা’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর পরিবর্তে তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য রজার বিনির স্থলাভিষিক্ত হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ১৮ অক্টোবর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ডের মসনদে বসবেন বিনি। যদিও আগের মতোই সচিব পদে থাকছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ। এই বিষয়টিতেই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বাংলার ‘দাদা’র হয়ে ব্যাট ধরলেন খোদ বাংলার ‘দিদি’।
প্রসঙ্গত, কুলিং অফ পিরিয়ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তির রায়ের পর অমিত শাহের ছেলে বহাল তবিয়তে বোর্ডের সচিব পদে থেকে গেলেন। অথচ সরিয়ে দেওয়া হল বাংলার আইকনকে। বিষয়টি আর পাঁচটা সৌরভ ভক্তের মতোই মেনে নিয়ে পারছেন না মমতা। এদিন প্রতিবাদে গর্জে উঠে তিনি বলেন, ‘অন্যায়ভাবে সৌরভকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর প্রায়শ্চিত্ত হতে পারে সৌরভকে আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে লড়াই করার সুযোগ করে দিয়ে।’ যদিও ইতিমধ্যেই সিএবি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে মনস্থির করে ফেলেছেন সৌরভ। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, বাংলা ও দেশের গর্ব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বের যোগ্য স্থান আইসিসি।
আজ উত্তরবঙ্গ সফরের আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘দেশবাসী এবং ক্রিকেট প্রেমীদের পক্ষ থেকে বলছি, সৌরভ আমাদের গৌরব। যথেষ্ট দক্ষতা নিয়ে মাঠে খেলেছেন। প্রশাসনিক দিকটাও ভালোভাবে চালিয়েছেন। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আদালত থেকে একটা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ সৌরভ এবং অমিত শাহের ছেলের জন্য ছিল। বোর্ডে অমিত বাবুর ছেলে রয়ে গেলেন, অথচ সৌরভকে বাদ দেওয়া হল। কেউ ভালে কাজ করলে সে থাকতেই পারে। আমার প্রশ্ন, সৌরভকে বাদ দেওয়া হল কী কারণে? ওকে অন্যায়ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ভীষণ বিস্মিত হয়েছি এবং দুঃখ পেয়েছি।’