কার্যত ধুয়েমুছে সাফই হলে গেল বিজেপি! খোদ স্বয়ংসেবক সংঘের খাসতালুকে হতশ্রী ফলাফল পদ্মশিবিরের। নাগপুরে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনে বিরাট জয় পেল কংগ্রেস। গেরুয়া শিবিরের হাল এতটাই খারাপ যে, ১৩টি সভাপতি আসনের একটিতেও জয়লাভ করতে পারেনি তারা। শনিবার নাগপুরে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনে ভোটদান হয়। সেদিনই ফল ঘোষণা হয়। প্রত্যাশা ছিল, সংঘের খাসতালুকে হেলায় জিতবে বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি দাঁড়ায় সম্পূর্ণ বিপরীত। পঞ্চায়েত সমিতির ১৩টি সভাপতি আসনের একটিতেও জয়লাভ করতে পারেনি তারা। এদিকে, কংগ্রেস দখল করে ৯টি আসন। শরদ পওয়ারের দল এনসিপি-র ঝুলিতে যায় ৩টি আসন। একটি আসনে জয়লাভ করেছে শিব সেনা। সহ-সভাপতি পদের লড়াইয়েও মাত্র তিনটি আসন দখল করেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসন সূত্র অনুযায়ী সাওনের, কমলেশ্বর, পারসেউনি, মউদা, কাম্পতি, উমরেদ, ভিবাপুর, কুহি ও নাগপুর (রুরাল) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। রামটেক আসনটি দখল করেছে শিব সেনার একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠী। পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র মূলক বলেছেন, “নির্বাচনে জয় পরাজয় লেগেই থাকে। তবে এখানে খোদ আরএসএস-এর গড়ে যেভাবে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।” উল্লেখ্য, নিতিন গড়কড়ি, দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ ও চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলর মতো বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের শিকড় নাগপুরে। নাগপুরে কংগ্রেসের এমন জয় দলের পক্ষে যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ও দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেছে বলে ধারণা তাঁদের। তাই এই ভরাডুবি যে গেরুয়াশিবিরের শিরঃপীড়া বাড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।