চলতি মাসের গোড়ায় জাপানের ভূখণ্ডের উপর দিয়ে একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। উত্তর-পূর্ব জাপান অতিক্রম করে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। উত্তর কোরিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ‘জবাবে’ জাপান সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আমেরিকা এবং তাদের মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। তারপর থেকেই কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনার পারদ ক্রমে চড়ছে। এবার যেমন পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার পরেই পশ্চিমী দুনিয়াকে হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন! বৃহস্পতিবার তাঁর ঘোষণা, ‘শত্রুদের মনে করিয়ে দিতে চাই, আমাদের দেশ পরমাণু যুদ্ধের জন্য পুরোপরি প্রস্তুত।’
প্রসঙ্গত, বুধবার ২,০০০ কিলোমিটার পাল্লার পরমাণু অস্ত্র বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। এই পরীক্ষার পিয়ং ইয়ংয়ের পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতির অঙ্গ বলেই মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি’ও জানিয়েছে, পরমাণু হামলার ক্ষমতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যেই দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিমের বক্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত, চলতি বছরের গোড়ায় উত্তর কোরিয়া ধারাবাহিক ভাবে মাঝারি ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার পরেই কিমের ‘গোপন পরমাণু পরিকল্পনা’ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি। এবার কিম নিজেই পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা বলে সেই আশঙ্কা আরও উস্কে দিলেন।