আবারও প্রকট হল দেশের আর্থসামাজিক বৈষম্য। নানান পরিসংখ্যান বলছে, মোদী আমলে ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে ভারত। বৈষম্যের তালিকাতেও একই জিনিস চোখে পড়ল। ১৬১টি দেশের মধ্যে ১২৩-তম স্থান পেয়েছে ভারতের। অপরদিকে, কমিটমেন্ট রিডিউসিং ইনইকুয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী, করোনা অতিমারীর পরেও জাতীয় স্বাস্থ্যখাতে মোদী সরকারের বরাদ্দ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় নগণ্যই বলা চলে।
লাগাতার দুই বছর করোনার কারণে ধাক্কা খেয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি। আর্থসামাজিক বৈষম্যও পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু কর। আস্তে আস্তে ফিরছে অর্থনীতি। করোনা পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নানান দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। বিভিন্ন দেশের সরকারগুলি ধনী-দরিদ্র বৈষম্যে কমাতে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তার ভিত্তিতে সিআরআইআই নানান দেশগুলির আর্থসামাজিক বৈষম্য সংক্রান্ত পরিস্থিতির তালিকা তৈরি করে। আর্থসামাজিক বৈষম্য সবচেয়ে কম নরওয়েতে। তারপরেই রয়েছে ইউরোপের দুই দেশ জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া। সেই তালিকায় ভারত ১২৩ তম স্থান পেল।
সিআরআইআই-এর মতে, সরকারি বরাদ্দ যদি সরকার দেশের সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে, তবেই আর্থসামাজিক বৈষম্য লাঘব হবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মোদী আমলে তা হচ্ছে না। সিআরআইআই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রগতিশীল কর ব্যবস্থার নিরিখে ১৬ নম্বর স্থান পেয়েছে ভারত। শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরির তালিকায় ভারত ৭৩ তম স্থানে রয়েছে। ওক্সফাম ইন্টারন্যাশানল ও ডেভলপমেন্ট ফিন্যান্স ইন্টারন্যাশানলের মতো আর্থিক সংস্থাগুলি অর্থনৈতিক বৈষম্যের দূরীকরণে সরকারি বরাদ্দে জোর দিতে বলছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা; মূলত এই তিনটি ক্ষেত্রেই জোর দিতে বলা হচ্ছে। কিন্তু মোদীর ভারত সেখানেও উলোট পুরাণ, স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের নিরিখে আবারও দু-ধাপ নেমেছে ভারত। ১৬১ দেশের মধ্যে তালিকায় শেষ থেকে পাঁচ নম্বর স্থান পেয়ে ভারতের অবস্থান ১৫৭ তম।