কিছুদিন আগেই ভারত-শ্রীলঙ্কার জল সীমান্ত থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১২০০ কোটি টাকার মাদক। সেই সময়ই জানা গিয়েছিল, আফগানিস্তান থেকে আমদানি করা এই মাদক ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বিক্রির পরিকল্পনা ছিল। গুজরাত বা কেরালার পথ ধরে কীভাবে উত্তর-পূর্ব ভারত অবধি মাদক পাচার হয়, সেই সম্পর্কেও জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এরপরই সমস্ত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়। আর সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার মিজোরাম থেকে উদ্ধার করা হল হেরোইন। সেখানে রাতের অন্ধকারে ট্রাক বোঝাই করে চলছিল মাদক পাচার। সূত্র মারফত খবর পেয়েই মিজোরাম থেকে ত্রিপুরায় মাদক পাচার হওয়ার আগেই অপরাধীদের হাতেনাতে ধরে বিএসএফ। আটক করা হয় ট্রাকটিকে, গ্রেফতার করা হয় চালককে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রেই খবর মিলেছিল করিমগঞ্জের পথ ধরে মিজোরাম থেকে ত্রিপুরায় মাদক পাচার করা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই করিমগঞ্জ পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালায় বিএসএফ। রাত একটা নাগাদ করিমগঞ্জ রেলস্টেশনের কাছ থেকে আটক করা হয় একটি ট্রাক। ওই ট্রাকচালক দাবি করেন, ট্রাকে শুধু সাবান রয়েছে। তল্লাশি চালাতেই দেখা যায়, সাবানের আস্তরণের ভিতরেই পাচার করা হচ্ছে হেরোইন। জানা গিয়েছে, ট্রাকের পিছনের অংশের উপরিভাগেই আলাদা চেম্বার করে সেখানে লুকানো ছিল সাবানগুলি। সাধারণ চোখে দেখে যাতে ধরা না পড়ে, তার জন্য সাবানের ভিতরে গর্ত করে তার ভিতরে ভরে রাখা হয়েছিল হেরোইন। মোট ৭৬৪টি মাদক ভর্তি সাবান উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাক থেকে মোট ৯.৪৭ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া হেরোইনের বাজারমূল্য আনুমানিক ৪৭.৭ কোটি টাকা।