ফের বিতর্কের মুখে ‘ডবল ইঞ্জিন’ উত্তরপ্রদেশ। যোগীরাজ্যে আত্মহত্যা করলেন এক নিরুপায় কৃষক। মাত্রাতিরিক্ত জেরে ফসল নষ্ট হওয়ার পরই বরাবাঁকি জেলার ওই কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি করেছে পরিবারের। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় এ বার অতিবৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে অন্তত ৩০টি জেলায় নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল। কার্যত ধারদেনা করে জমিতে ফসল লাগিয়েছিলেন কৃষক ঘনশ্যাম বর্মা। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখেছিলেন তিনি। শনিবার সারা দিন বাড়িতেই ছিলেন ঘনশ্যাম। বিকেলের পর ক্ষেত দেখতে বেরোন। কিছু ক্ষণের মধ্যে ফিরেও আসেন বাড়ি। তার পর ঘর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। রাতে ডাকাডাকিতেও সাড়া না মেলায় দরজা ভাঙা হয়। দেখা যায়, চালের কড়িবরগা থেকে ঝুলছেন ঘনশ্যাম।
এপ্রসঙ্গে ঘনশ্যামের স্ত্রী বলেন, ‘‘সারা দিন বাড়িতেই ছিলেন। সন্ধে নাগাদ বেরিয়েছিলেন। ক্ষেত থেকে ফিরে এসে দরজা বন্ধ করে দিলেন। তার পর রাতে দরজা ভেঙে দেখি এই কাণ্ড! বাচ্চাগুলোকে কী ভাবে মানুষ করব জানি না।’’ ঘনশ্যামের ভাই বলেন, ‘‘বৃষ্টিতে দাদার সমস্ত ফসল নষ্ট হয়েছে। সেটা দেখে ফিরে এসে দাদা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। অনেক জায়গা থেকে ঋণ করে ফসল করেছিলেন। কী ভাবে ধার শোধ করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। সেই জন্যই এই পদক্ষেপ বলে মনে হয়।’’ জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের অন্তত ৩০টি জেলায় অতিবৃষ্টি হয়েছে। ফলে নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘার ফসল। শুধু মাত্র শ্রাবস্তী জেলায় ৩ হাজার শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। চরম ক্ষয়ক্ষতির কবলে পড়েছে বরাবাঁকি জেলার জমিগুলিও।