আমেরিকা সফরের শেষ দিন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, জ্বালানির ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারতের ‘কোমর ভেঙে’ গিয়েছে। কিন্তু মোদীর বিদেশ মন্ত্রীর কথায় আমলই দিল না আমেরিকা। মোদীর বিদেশমন্ত্রী সফর সেরে দেশে ফেরার পরই ভারতের জন্য লাল সঙ্কেত হোয়াইট হাউসের। আমেরিকার শুল্ক বিভাগ থেকে নোটিস দিয়ে একটি ভারতীয় বেসরকারি তেল সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার কথা জানানো হয়েছে। অভিযোগ, তারা ইরান থেকে লক্ষ লক্ষ ডলারের তেল আমদানি করে তা চীনকে বিক্রি করেছে। জয়শঙ্কর ভারতে ফেরার পরই এই নোটিস জারি করা হল কেন, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।
কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে মোদী সরকার। এটা ঘটনা যে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মাধ্যমে বা সরকারি স্তরে ইরান থেকে তেল আমদানি হয়নি। কিন্তু বিষয়টি এতই স্পর্শকাতর যে ইরান থেকে ভারতের কোনও বেসরকারি সংস্থা তেল আমদানি করবে বিনা কেন্দ্রীয় ছাড়পত্রে এবং সাউথ ব্লক চোখ বুজে থাকবে, তা সম্ভব নয়। আর ওই তেল দেশের ঘরোয়া ব্যবহারের জন্য নয়, চীনে পাঠানোর জন্য বলে আমেরিকা জানানোয় বিষয়টিতে আরও জট পাকিয়েছে। ‘তিবালজি প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের ওই সংস্থাটির ওয়েবসাইটে ইঙ্গিত দেওয়া রয়েছে, তারা ইরান থেকে পণ্য ভারতের জন্য নয়, চীনের জন্য আমদানি করে।