দুর্গোৎসবের আবহে মেতে উঠেছে আপামর বাঙালি। আজ চতুর্থী। দেবীর বোধনের আর দুদিন বাকি। এর মধ্যেই কলকাতার মণ্ডপে মণ্ডেপ নেমেছে মানুষের ঢল। তবে পুজোর উল্লাসের মাঝে উঁকি দিচ্ছে দুশ্চিন্তার মেঘ। পূর্ব-মধ্য ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর ফলে সপ্তমী থেকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আর তাই বৃষ্টি নামার আগেই পুজোর আনন্দ উদযাপনে তৎপর শহরবাসী। মহাষষ্ঠীর দিন থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। মূলত উপকূলীয় জেলা এবং কলকাতা সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও কোন জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট করে হাওয়া অফিসের তরফে কিছু জানানো হয়নি। কলকাতা , উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, হাওড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় পুজোর সময় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২ তারিখ সপ্তমী থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। নবমী এবং দশমীতেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুজোর আগে নতুন করে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আবহবিদরা। সারা শহরজুড়ে পুজোর আমেজ চলছে। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রস্তুতি শেষ। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের প্রায় সবকটি বিখ্যাত পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করে ফেলেছেন। চতুর্থী থেকেই জনজোয়ার নামার ইঙ্গিত রয়েছে। কারণে ষষ্ঠী থেকে পুজোর আনন্দ মাটি করতে নামবে বৃষ্টি। আর তাই আগেভাগেই বড় পুজো মণ্ডপগুলি ঘুরে দেখার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন শহরবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আবহাওয়া গুমোট থাকবে। তাপমাত্রার পাশাপাশি অস্বস্তি বাড়াবে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯১ শতাংশ। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আগামী ৪ এবং ৫ই অক্টোবর অর্থাৎ নবমী ও দশমীর দিন উত্তর বাংলার জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।