শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। আর মাত্র তিনদিন। তারপরেই দেবীর বোধন। তবে তৃতীয়া থেকেই উল্লাসে মাতোয়ারা কলকাতাবাসী। পথে পথে নেমেছে মানুষের ঢল। পুজো সুষ্ঠুভাবে সামলাতে তৎপর কলকাতা পুলিশ। চতুর্থী থেকে ভিড় ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ১০০০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন করছে লালবাজার। এর মধ্যে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন চার হাজার জন পুলিশ। পুলিশকে সাহায্য করবেন আরও ১০ হাজার টেম্পোরারি হোমগার্ড। পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও ইনসপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকরা শহরের বড় মোড়গুলির দায়িত্বে থাকবেন। গোটা বিষয়ে লালবাজারের কর্তারা তদারকি চালাবেন কন্ট্রোল রুম থেকে। গত ২৭শে সেপ্টেম্বর আলিপুর বডিগার্ড লাইনে পুলিশদের উদ্দেশ্যে পুজো নিয়ে বার্তা দিয়েছেন নগরপাল বিনীতকুমার গোয়েল। পুজোয় শহরকে সচল রাখা, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সুষ্ঠুভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যানজট রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সব রাস্তাকেই সমান গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন নগরপা। চতুর্থী থেকেই ন’হাজার পুলিশকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। প্রথম দলের দায়িত্ব থাকবে ট্রাফিক রি-ইনফোর্সমেন্ট অর্থাৎ যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা। দুপুর ২টো থেকে এই দল রাস্তায় নামবে। চতুর্থী থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পার্কিং বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এর পাশাপাশি বিকল্প পার্কিং, ডাইভারশনসহ ট্রাফিক সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা আগে থেকেই সেরে রাখবে রি-ইনফোর্সমেন্ট টিম। এই কাজে মোট ৪ হাজার পুলিশকে রাজপথে নামানো হচ্ছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ইনসপেক্টর, সার্জেন্ট পদমর্যাদার অফিসারসহ কনস্টেবলরা এই দায়িত্বে থাকবেন। ভিড় নিয়ন্ত্রণে দুপুর ৪টে থেকে মাঠে নামবে হোমোজিনিয়াস ফোর্স। তাঁদের সংখ্যা পাঁচ হাজার। ভিড় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যানবাহন সচল রাখা দিকেও নজর রাখবেন তারা। সমস্ত বড় পুজো প্রাঙ্গণে পুলিশের অস্থায়ী কিয়স্ক থাকছে। দর্শনার্থীদের সহায়তার জন্যও রাস্তায় থাকবেন পুলিশকর্মীরা। শহরের সমস্ত বড় পুজোর প্রবেশ পথ ও বাহির পথে হাজির থাকবেন তাঁরা। দুর্গা পুজোর আগে অপরাধ রুখতে গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে স্পেশাল ড্রাইভের ব্যবস্থা করা হয়। গত ২৬শে সেপ্টেম্বর শহরজুড়ে অভিযান চালিয়ে ১৩৪ জনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগে দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে গুণ্ডাদমন শাখা ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রাতে বিশৃঙ্খলা ও অসভ্য আচরণের জন্য ৫৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। অভিযান চালিয়ে ২০০ লিটার দেশি মদুও উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এবারই প্রথম পুজোর সময় বাইকের দৌরাত্ম্য রুখতেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় নাকা চেকিং করবে ১৬টি টিম। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ তরফে জানা গিয়েছে এমনটাই।