ফের বিতর্কের কেন্দ্রে মোদী সরকার। আসন্ন দুর্গাপুজোর আগেই কি বন্ধ হয়ে যাবে বিনামূল্যে রেশন? দেশবাসীর মন জড়ো হয়েছে আশঙ্কার মেঘ। প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন প্রকল্পে আরও তিন মাস বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত খাদ্যশস্যের জোগান নেই। অর্থ মন্ত্রকের তরফে এই মর্মে খাদ্য মন্ত্রককে নোট পাঠানো হয়েছে। গত সপ্তাহে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই প্রকল্পের মেয়াদ আরও তিন মাস বৃদ্ধির দাবিতে চিঠি দেওয়া হয়। একই দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধিতে সম্মত হয় খাদ্য মন্ত্রক।
যদিও মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে এর ফলে সরকারের ভাঁড়ারের ওপর বিরাট চাপ পড়বে। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পাঠানো নোটে জানানো হয়েছে, ৪৪ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা বেশি অর্থ খরচ হবে। অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় বরাদ্দ সংক্রান্ত দফতরের তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে একটি অর্থনৈতিক চাপ তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে জ্বালানি-সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রির দামে। করোনার প্রভাব এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে এবং যে কারণে এই প্রকল্পে সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল, তার আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্প চালু থাকলে মনে হতে পারে যে এই প্রকল্প স্থায়ী এবং প্রকল্পটি বন্ধ করা কঠিন হয়ে যাবে।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। ‘‘করোনার প্রভাব এখনও দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। অতিমারীর ফলে সাধারণ বিশেষ করে গরীব ও খাদ্য সুরক্ষা আইনের উপভোক্তারা যে আর্থিক ধাক্কা খেয়েছেন, তা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি’’, চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি। সৌগতবাবুর দাবি, যদি বিনামূল্যে রেশন দেওয়া সম্ভব না হয়, অন্তত জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে যে অল্প দামে খাদ্যশস্য দেওয়া হয়ে থাকে, সেটা অন্তত চালু থাকুক। চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে গরীব কল্যাণ অন্ন প্রকল্পের মেয়াদ। তারপর অন্তত ৬ মাস এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি করেন সৌগত রায়। অর্থমন্ত্রকের ব্যয় সংক্রান্ত দফতরের পাঠানো নোটে বলা হয়েছে, যদি একান্তই এই প্রকল্প চালু রাখতে হয় তাহলে যেন খাদ্য শস্যের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই নানান প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।