রাজস্থান কংগ্রেসে গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য অশোক গেহলটকেই দায়ী করছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। রবিবারের ডামাডোলের পর কংগ্রেস সদর দফতরের চারিদিকে রাতারাতি বিরক্তির পাত্র হয়ে উঠেছেন রাজস্থান মুখ্যমন্ত্রী। যাঁকে দলের সর্বাধিনায়ক করার পরিকল্পনা চলছিল, হঠাৎ করে তিনি হয়ে গিয়েছেন খলনায়ক। যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জেরে তাঁকে দলের সভাপতি পদে আর চাইছেন না সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা।
প্রথমে তাঁর অনুগামীদের বিদ্রোহ। তারপর তাঁদেরই আবার একের পর এক শর্ত আরোপ করে হাইকমান্ডকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করা। সবশেষে বিদায়ী অন্তর্বর্তীকালীন দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে দুই পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়গে ও অজয় মাকেনের ডাক উপেক্ষা করে বৈঠকে না যাওয়া। গত কয়েকঘণ্টায় তিনি এবং তাঁর অনুগামীদের ধারাবাহিক কাজ ও পদক্ষেপে গেহলটের ওপর ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড। সবদিক বজায় রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামানো হয়েছে কমলনাথকে। শুধু তাই নয়। সোনিয়া পর্যবেক্ষকদের থেকে লিখিত রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালের মধ্যে তা জমা দেওয়ার কথা খাড়গে-মাকেনের। তারপরই নির্ধারিত হতে পারে গেহলটের ভবিষ্যৎ।
যদিও সূত্রের খবর, সোমবার রাতে অনুগামীদের আচরণের জন্য সোনিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন গেহলট। তবে তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে এ হেন দলবিরোধী আচরণের জন্য পদক্ষেপ করা হতে পারে কংগ্রেসের তরফে। তার আগেই অবশ্য সোনিয়ার তলবে দিল্লী এসেছেন মধ্যপ্রদেশ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। তাঁর হঠাৎ দিল্লী আসার পিছনে দু’টি সম্ভাবনা সামনে আসছে। কারও বক্তব্য, গেহলটের সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে তাঁকে ডেকেছেন সোনিয়া। কারও দাবি তাঁকে নতুন প্রার্থী করা হতে পারে। যদিও কমলনাথের বক্তব্য, ‘সভাপতি পদ নিয়ে আমার কোনও আগ্রহ নেই। আমি নবরাত্রির শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি শুধু।’