ঝড় ঠেকাতে বাংলার দ্বারস্থ গুজরাত। বাংলার ম্যানগ্রোভ টেকনোলজি শিখতে আবেদন জানিয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও কেরল। ২০২০ সালে আমফান, ২০২১-এর ইয়াসের মতো ঝড়ে বিপুল ক্ষতি আটকে দিয়েছিল সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ৷ এর পরেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ অঞ্চলকে আরও বৃদ্ধি করা হবে৷ সেই মোতাবেক কাজ শুরু হয়৷ গত দু’বছর ধরে দুই ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে প্রায় ১৫ কোটি ৫৪ লক্ষ ম্যানগ্রোভ রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবনের একটা বড় অংশ দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ম্যানগ্রোভ রোপণ করা হয়েছে ১২ কোটির বেশি৷
রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ‘এই ১৫ কোটি ৫৪ লক্ষ ম্যানগ্রোভ আমরা কী ভাবে রোপণ করলাম সেই অভিযান দেশের বাকি রাজ্যগুলিকে শেখাবে বাংলা। অন্ধ্র, ওড়িশা, গোয়ার মতো উপকূলীয় রাজ্যগুলিকে শেখানো হয়ে গিয়েছে। বাংলার বন দফতরের আধিকারিকরা শিখিয়ে এসেছেন। এবার পালা গুজরাত, মহারাষ্ট্র মতো রাজ্য গুলিকে শেখানোর’।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরাও থাকবেন এখানে।ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ম্যানগ্রোভ রোপণ করার কথা বলেছিলেন। এই বিষয়ে উদ্যোগী ভূমিকা নেয় রাজ্যের পরিবেশ ও বন দফতর। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ রোপণ করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী চর এলাকায় এই ম্যানগ্রোভ রোপণ করা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে ম্যানগ্রোভ রোপণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় বিভিন্ন ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ম্যানগ্রোভ রোপণের কাজ হয়।