কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ। রাজ্যে আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতগুলিকে স্বনির্ভর করতে রাজ্য চায় নিজস্ব সম্পদকে বেশি করে ব্যবহার করতে। বিশেষ করে যেসব পঞ্চায়েতের গেস্ট হাউস বা কমিউনিটি হল রয়েছে সেগুলি বেশি করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা। এজন্য অনলাইন পরিষেবাকে কাজে লাগাতে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর ইতিমধ্যেই নিজস্ব পোর্টাল তৈরি করেছে। পঞ্চায়েত সচিব পি উল্গানাথন জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে এব্যাপারে বিশেষ সক্রিয় হওয়ার পরমার্শ দিলেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
চিঠিতে তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন,গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদের সমস্ত গেস্ট হাউস নতুন আঙ্গিকে পর্যটকদের উপযোগী করে সাজাতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন মতো লিজের ভিত্তিতে ভাড়া দিতে পারে। পর্যটন কেন্দ্রের লাগোয়া পঞ্চায়েতগুলিতে রাজস্ব বাড়াতে হোম স্টে ও অন্য পর্যটন কেন্দ্রিক উন্নয়ন মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। সরকারি পোর্টালকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন বুকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও কলকাতায় অবস্থিত কোচবিহার,জলপাইগুড়ি, বালুরঘাট, পুরুলিয়া, গেস্ট হাউসগুলি এখন থেকে অনলাইনে বুকিং করতে হবে। সুযোগ থাকলে ম্যারেজ হল করে ভাড়া দিয়ে পয়সা তুলুন।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন দফতরকে বিকল্প উপায় আয় বাড়ানোর কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রস্তাব দিতে বলেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দফতর তা নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করেছে। বিশেষত পর্যটন দফতর, পূর্ত দফতর, পঞ্চায়েত দফতর সহ কয়েকটি দফতরকে বিশেষভাবে বিকল্প উপায় আয় বাড়ানোর উপর জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়। তারপরই রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর গোটা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেন।পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে বিভিন্ন জেলায় একাধিক গেস্ট হাউস রয়েছে যেগুলিকে পর্যটন আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব।