তৎপর নবান্ন। দ্রুত গতিতেই শেষ করতে হবে গ্রামোন্নয়নের কাজ। সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা। আর বেশি দিন বাকি নেই। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দের কাজে গতি আনতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ, নভেম্বরের মধ্যেই বরাদ্দের অন্তত ৬০ শতাংশ টাকার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। জেলায় জেলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কর্মযজ্ঞ। গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা মেরামতি, পানীয় জলের সমস্যা দূরীকরণসহ একাধিক কাজ দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলাগুলি অর্থ কমিশনের দেওয়া টাকার ৫৭ শতাংশের বেশি খরচ করে ফেলেছে। অনেক জেলাই ছাপিয়ে গিয়েছে রাজ্যভিত্তিক গড়ের গণ্ডি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই খাতে অর্থ কমিশন রাজ্যের জেলাগুলিকে মোট ৭,৮৫৪ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে। সোমবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট বরাদ্দ করা অর্থের মধ্যে সাড়ে চার হাজার লক্ষের বেশি টাকা খরচ হয়েছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজেই টাকা খরচ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি অর্থের ৬০ শতাংশ টাকা পানীয় জল এবং স্যানিটেশনে খরচ করা তার বলে জানা যাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা, কমিউনিটি শৌচাগার, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকাঠামো ইত্যাদি গড়ে তোলা হবে বলে জানাচ্ছে সূত্র। টাকা খরচে পিছিয়ে থাকা জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে ঝাড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদসহ আরও কয়েকটি জেলা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে টাকা খরচের জন্য ওই জেলাগুলিকে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে পঞ্চায়েত দফতর এবং নবান্নের তরফে। কাজে কোনও ফাঁকি রাখতেই রাজি নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।