পুরনো পেনশন প্রকল্প চালু করতে হবে। এমনই দাবিতে শনিবার গণছুটিতে নামলেন গুজরাটের সরকারি কর্মচারীরা। যদিও শুক্রবারই প্রধান কর্মচারীরা সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছিল, গণছুটি কর্মসূচি পালন করা হবে। কারণ সরকার অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছে। কিন্তু জেলা সংগঠনের দাবি, পুরনো পেনশন প্রকল্প ফেরানোর মূল দাবি বিবেচনা করেনি সরকার।
সম্প্রতি পুরনো পেনশন প্রকল্পের কার্যকরের দাবি তুলেছেন গুজরাটের পঞ্চায়েত স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক এবং অন্যান্য সরকারি কর্মচারীরা। আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে শনিবার গণছুটি কর্মসূচি নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (এনপিএস) চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর চাকরি শুরু করেছেন, তাঁরা নয়া পেনশন কাঠামোর আওতায় পড়েন। তবে কোনও রাজ্যে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম চালু করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার।
সৌরাষ্ট্র এলাকার রাষ্ট্রীয় সংযুক্ত মোর্চার আহ্বায়ক মহেশ মোরি বলেন, ‘আমাদের মূল দাবি ছিল পুরনো পেনশন প্রকল্প। কিন্তু শুক্রবার রাজ্য সরকার সেই বিষয়টির সমাধান করেনি। এই বিষয়টি রাজ্যের প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীর উপর প্রভাব ফেলে এবং তাই সরকারি কর্মচারীরা গণছুটির পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন। মহেশের দাবি, শনিবার শুধুমাত্র ভাবনগর জেলার প্রায় ৭,০০০ সরকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা গণছুটিতে যোগ দেন।
গান্ধীনগরে পুরনো সচিবালয় চত্বরে মিছিল করেন বিক্ষুব্ধ সরকারি কর্মচারীরা। এক বিক্ষোভরত সরকারি কর্মচারী বলেন, ‘আমাদের সব দাবি মেনে নেওয়া বলে দাবি করে ইউনিয়নের নেতারা কর্মসূচি বাতিল করে দেন। কিন্তু পুরনো পেনশন প্রকল্প কার্যকরের যে মূল দাবি ছিল আমাদের, সেই দাবি এখনও মানা হয়নি। যাঁরা ২০০৫ সালের আগে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, শুধুমাত্র তাঁদেরই পুরনো পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। অথচ আমাদের অধিকাংশ কর্মচারীরা ২০০৫ সালের পর চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, মাসকয়েক পরেই গুজরাটে বিধানসভা ভোট আছে। তার আগে সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলনে নামায় গুজরাটের বিজেপি সরকার যে যথেষ্ট চাপে পড়বে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই সংশ্লিষ্ট মহলের। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পুরনো পেনশন প্রকল্পের দাবি মানতেই হবে।