শনিবার মধ্যপ্রদেশের অভয়ারণ্যে ৮টি চিতাকে খাঁচা মুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের জন্মদিনে বেশ খোজ মেজাজেই দেখা যায় তাঁকে। চিতার ছবি তুলতেও দেখা যায় মোদীকে। তবে এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বর্তমানে ‘ভারত জোড়ো’ পদযাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে কংগ্রেসের ভাবধারাকে প্রসারিত করার চেষ্টা করছেন। এই আবহে গতকাল তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘যেখানে কর্মসংস্থান এবং মূল্যস্ফীতির উপর নজর দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী চিতার ছবি তুলতে ব্যস্ত।’
রাহুল গান্ধী এদিন অভিযোগ করেন, ‘মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার পরিকল্পিতভাবে ছোট, মাঝারি ব্যবসায়ী, কৃষক ও শ্রমিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।’ কেরলের হরিপদের কাছে চেপ্পাড়ে একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় রাহুল বলেন, ‘এটা অযৌক্তিক। জাতির সমস্যা বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চিতাদের বনে ছেড়ে দিচ্ছেন। আপনি আশা করেন যে প্রধানমন্ত্রীর বেকারত্বের সংকট সমাধান এবং মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা সমাধানে তাঁর সময় ব্যয় করবেন। কিন্তু তিনি চিতার ছবি তুলতে ব্যস্ত।’
এদিকে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে কংগ্রেস ‘জাতীয় বেকারত্ব দিবস’ পালন করে। এই আবহে রাহুলের পদযাত্রায় নাচ, পথনাটকের আয়োজন করা হয়। ব্যানার দেখিয়ে প্রতিবাদও জানানো হয়। রাহুল গান্ধী বলেন, ‘এমন একটি দেশের কথা ভাবুন যেখানে আমাদের তরুণরা চাকরি না পাওয়ার কারণে আত্মহত্যা করছে। এমন একটি দেশ কল্পনা করুন যেখানে দুই বা তিনজন ব্যবসায়ী গোটা জাতির পুরো সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা যে কোনও ব্যবসা করতে চাইলেই সেখানে প্রবেশ করতে পারেন। তারা যে কোনও ব্যবসা থেকে যে কাউকে চাপ দিয়ে বের করে দিতে পারে। কেন? কারণ তারা দেশের নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ।’ রাহুল গান্ধী বলেন যে বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) দেশে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করেছে। তবে তাঁর দাবি কেরলের রাস্তা এই ঘৃণা থেকে মুক্ত।