পুজোর আগেই ৩১ হাজার নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে একদিনে ১১ হাজার নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ খড়গপুর স্টেডিয়াম থেকে আরও ৭ হাজার নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। উৎকর্ষ বাংলার অধীনে কারিগরি শিক্ষার প্রশিক্ষিত পড়ুয়াদের এই নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হবে।
মূলত পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এই চার জেলার পড়ুয়ার হাতেই এই নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। এদিন খড়গপুর স্টেডিয়াম থেকে সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই তা করা হবে। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতিও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই দুর্গাপুর ও শিলিগুড়ি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও উৎকর্ষ বাংলার অধীনে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর এবং বুধবার শিলিগুড়িতে এই কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
প্রসঙ্গত গত সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উৎকর্ষ বাংলার অধীনে ছাত্রছাত্রীদের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার সময় খানিকটা বিড়ম্বনায় পড়েন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। ছাত্র-ছাত্রীরা সত্যিই নিয়োগপত্র পেয়েছেন নাকি তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন ‘আমি নিজেই একটু ইনভেস্টিগেশন করে নিতে ভালোবাসি’। এভাবেই ছাত্রছাত্রীরা নিয়োগপত্র পেয়েছেন নাকি তা সরজমিনেই গত সোমবার খোঁজ নিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবারের সেই ঘটনার পর সতর্ক রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের আধিকারিকরা। এদিন খড়গপুর স্টেডিয়ামে যাতে সকল ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে নিয়োগ পত্র থাকে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে মরিয়া রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে দুদিন আগেই মুখ্যসচিব ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন প্রতিটি জেলার সঙ্গে। পাশাপাশি এদিন খড়গপুর স্টেডিয়াম থেকে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক নয়া প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী।