গত ৫ সেপ্টেম্বর ৪ দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। দেশে ফিরেই এবার ভারতের উত্তর-পূর্বের ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নীতিগত ভাবে এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সফরের প্রস্তুতি বিদেশমন্ত্রকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরেই হবে বলে খবর। একইসঙ্গে, শীঘ্রই যৌথ নদী কমিশনের পরবর্তী বৈঠক হবে বলেও জানা গিয়েছে।
শনিবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা ভারতের ডোনার মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং উত্তর-পূর্বের সমস্ত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের অন্তত তিনদিনের জন্য বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক ও বণিক সভার প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি হাসিনার ভারত সফরের পর এই আমন্ত্রণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ঢাকার উপর চীনের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত দিল্লী। এবং সেই কথা ঠারে ঠারে বুঝিয়েও দিয়েছে মোদী সরকার। তাই সন্দেহের মেঘ কাটাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এক নতুন দিশা দিতেই এই পদক্ষেপ হাসিনা সরকারের। তাছাড়া, ভারতের উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করাও উদ্দেশ্য মুজিব-কন্যার।