এবার পিছিয়ে গেল সিএএ (সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট) মামলার শুনানি। এমনই সিদ্ধান্ত নিল দেশের শীর্ষ আদালত। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সোমবার রায় মুলতুবি রাখল দেশের প্রধান বিচারপতির ইউ ইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মামলা মুলতুবি রাখা হয়েছে। সিএএ-র বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মোট দু’শোর বেশি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাতেই রায়দান আপাপতত মুলতুবি করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে সূত্র। বিগত ২০১৯ সালের ১৮ই ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। তখনও এই আইনে স্থগিতাদেশ আনতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে কেন্দ্রকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে এই আইন কার্যকর করার প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি একাধিক সংগঠন এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয় ও মামলা দায়ের করে। সুপ্রিম কোর্টে দু’শোটিরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলাগুলিরই শুনানি হওয়ার কথা ছিল সোমবার। যা মুলতুবি রাখা হয়েছে আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
মামলাকারীদের দাবি, এই নতুন আইনে সংবিধানে দেওয়া সমানাধিকারের মৌলিক বিষয়টিই খর্ব করা হয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়াও সংবিধানের পরিপন্থী বলেও মত অধিকাংশ মামলাকারীর। নতুন আইনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে আইইউএমএল। এই আইন দেশের সংবিধানের দেওয়া মৌলিক অধিকারের উপর নির্লজ্জ আক্রমণ, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, আরজেডির মনোজ ঝা-সহ বিরোধী নেতারাও সিএএ-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হয় সংসদে। নতুন এই আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সমালোচনায় মুখর হন সাধারণ মানুষও। সিএএ দ্রুত কার্যকর করার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন পদ্মশিবিবের নেতারা। যদিও তা সম্ভব হয়নি এখনও।