বুধবার থেকেই আরম্ভ হচ্ছে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। আজ কন্যাকুমারী থেকে প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হতে চলেছে এই বিশেষ যাত্রা। ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর আগে বুধবার একটি আবেগপূর্ণ কথাও সবার সাথে ভাগ করে নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। আরও একবার স্মরণ করেছেন তাঁর বাবা তথা ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে। মনে করেছেন রাজনৈতিক কারণে তাঁর বাবার খুন হওয়ার কথা। একই সঙ্গে ভারতের মানুষের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন রাহুল। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত দীর্ঘ ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটারের এই পদযাত্রা শুরুর প্রাক্কালে বাবার আশীর্বাদ নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। বুধবার সকালে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরম্বুদুরে অবস্থিত রাজীব গান্ধী মেমোরিয়ালে রাহুল গান্ধী সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা উপস্থিত হন।
এরপর সেখানে থেকেই টুইট করে রাহুল বলেছেন, “আমি আমার বাবাকে ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতিতে হারিয়েছি। আমি আমার প্রিয় দেশকেও একই জিনিসের জন্য হারাব না। ভালোবাসা জয় করবে ঘৃণাকে। আশাকরি ভয়কে পরাজিত করব। একসঙ্গে আমারা এটি কাটিয়ে উঠব।” সেই জায়গা থেকে কংগ্রেস নেতা এই সমস্ত কথা বলেছেন যেখানে শ্রীপেরুমবুদুর যেখানে রাজীব গান্ধীকে ১৯৯১ সালের ২১শে মে লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল এলমের এক সন্ত্রাসী দ্বারা আত্মঘাতী হামলায় হত্যা করা হয়েছিল। বাবার স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করার পর রাহুল মহাত্মা গান্ধী মন্ডপমে একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য কন্যাকুমারীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন যাত্রা শুরুর জন্য কংগ্রেস নেতার হাতে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করবেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কন্যাকুমারী থেকে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পদযাত্রা রওনা হবে। সূত্রের খবর, প্রতিদিন ১০০ জন যাত্রী ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পদযাত্রা করবেন। আগামী ১৫০ দিন ব্যাপী এই পদযাত্রায় কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি এবং নেতারা নিজ নিজ রাজ্যে পদযাত্রা করবেন। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত সম্পূর্ণ পদযাত্রায় অংশ নেবেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস জানিয়েছে যে এটি দেশের মধ্যে সংগঠিত দীর্ঘতম রাজনৈতিক পদযাত্রা। আজ বিকেল ৫টায় একটি অনুষ্ঠানে যাত্রা শুরু হবে এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু হবে। উক্ত পদযাত্রায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে থাকবেন ১১৮ যাত্রী পা মেলাবেন। স্বাভাবিকভাবেই এই যাত্রা ঘিরে প্রবল উৎসাহিত দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।