কয়লা পাচার মামলায় ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। কয়লা পাচার মামলায় পাঠানো হয়েছে সমন। তাতেই আগামী ২ সেপ্টেম্বর তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে জোরদার চর্চা। এবার ইডির তলব নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। ‘কেন অভিষেক? কারণ বিজেপির গলার কাঁটা। কেন গলার কাঁটা? কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী আর তাঁর সেনাপতি অভিষেক’। এদিন এ ভাষাতেই বিজেপিকে কটাক্ষ করতে দেখা গেল কুণালকে।
এদিকে একদিন আগেই বাংলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থাগুলির তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘এই সভায় একটু আগেই অভিষেক খুব ভাল বক্তৃতা দিয়েছে, আমার মন বলছে, ওকে কাল না নোটিস ধরায় আবার। আগে তো ওকে নোটিস ধরিয়েছে, ওর বউকেও নোটিস ধরিয়েছে। এবার বোধ হয় ২ বছরের বাচ্চাটাকেও নোটিস ধরাবে’। এদিকে মমতার এই কথার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অভিষেককে ফের সমন পাঠালো ইডি।
ইডি-র তলব নিয়ে তীব্র কটাক্ষবাণ শানিয়ে কুণাল বলেন, ‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি মোদী-শাহ-নাড্ডা থেকে শুরু করে যতজন এসেছেন। তাঁরা আক্রমণ করতেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। আর কুৎসা ছড়াতেন মমতার বিরুদ্ধে। কেন অভিষেক? কারণ বিজেপির গলার কাঁটা। কেন গলার কাঁটা? কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী আর তাঁর সেনাপতি অভিষেক। ফলে তখন থেকে চলছে এবার অভিষেকের বাড়ি সিবিআই- ইডি যাবে। ফলে বিজেপির নেতারা আগাম বিবৃতি দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন তাঁরা রাজনৈতিকভাবে অভিষেকের মোকাবিলা করতে পারেন না বলে তাঁরা ছুটে ছুটে গিয়ে দিল্লিকে গিয়ে বলেন একটু এজেন্সিকে পাঠান। আমরা তো ওনাকে সামলাতে পারছি না। ফলে অভিষেকের ক্ষেত্রে এটা যে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটা ব্যাপার সেটা বিজেপি বিধানসভা ভোটের আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে’।