ফের মুখ পুড়ল মোদী সরকারের! দেশে নারী নির্যাতন থেকে মহিলাদের উপর নানা ধরণের আক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ২০২১ সালের রিপোর্টে উঠে এল এমনই তথ্য। এনসিআরবি জানাচ্ছে, ২০২১ সালে দেশে ৪৫ হাজার ২৬ জন মহিলা আত্মহত্যা করেছেন। যার মধ্যে অধিকাংশই গৃহবধূ। সদ্যপ্রকাশিত পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, গৃহবধূরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। ক্রমেই এই প্রবণতা বাড়ছে। ২০২১ সালে ২৩ হাজার ১৭৯ জন মহিলা আত্মহত্যা পথ বেছে নিয়েছেন। ২০২০ সালের তুলনায় যা প্রায় ৩.৬ শতাংশ বেশি। এই পরিসংখ্যান সত্যিই আশঙ্কার। এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী, গৃহবধূদের আত্মহত্যার নিরিখে শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র। এই তিন রাজ্যে বিগত বছরে যথাক্রমে ৩ হাজার ২২১ জন, ৩ হাজার ৫৫ জন ও ২ ৮৬১ জন গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন। ২০২১ সালে গৃহবধূদের পাশাপাশি বহু ছাত্রী ও শ্রমজীবী মহিলাও আত্মঘাতী হয়েছেন। পরিসংখ্যান বলছে, ছাত্রী ও শ্রমজীবী মহিলাদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার সংখ্যা যথাক্রমে ৫ হাজার ৬৯৩ ও ৪ হাজার ২৪৬ জন। গত এক বছরে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৩ জন মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন বিপুল সংখ্যক দিনমজুর।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ৪২ হাজার ৪ জন শ্রমজীবী মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। ২০২০ সালে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৬৬৬ জন। আগের বছরের তুলনায় ২০২১ সালে দিনমজুরদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ১১.৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বিগত বছরে আত্মহত্যার পরিমাণ ৭.১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শ্ৰমজীবীদের মধ্যে আত্মহত্যার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। দিনমজুরদের পরেই আত্মহত্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন স্বনির্ভর ব্যক্তিরা। ২০২০ থেকে ২০২১, এক বছরের মধ্যে স্বনির্ভর ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার ঘটনা ১৬.৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পেশাগতভাবে কৃষির সঙ্গে যুক্ত ১০ হাজার ৮৮১ জন আত্মহননের পথ অবলম্বন করেছেন। তবে ২০২০ তুলনায় ২০২১ সালে বেকারদের আত্মহত্যার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ২০২০ সালে ১৫ হাজার ৬৫২ জন উপার্জনহীন মানুষ আত্মহত্যা করেছিলেন। অন্যদিকে,২০২১ সালে ১৩ হাজার ৭১৪ জন কর্মহীন মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। চরম সমালোচনার মুখে কেন্দ্র।