নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা তিন পাক জঙ্গির। খতম করল ভারতীয় সেনা। জম্মু ও কাশ্মীরের উরি সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে তিন পাকিস্তানি জঙ্গি। কিন্তু আগে থেকে এই অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে সজাগ ছিলেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। জওয়ানদের গুলিতেই মৃত্যু হয় ওই তিন জঙ্গির। বৃহস্পতিবার সেনার তরফে এই অনুপ্রবেশকারী পাক জঙ্গিদের খতম করার কথা জানানো হয়েছে। শ্রীনগরে থাকা ভারতীয় সেনার জনসংযোগ আধিকারিক কর্নেল এমরণ মুসাভি জানিয়েছেন, উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টরের কামালকোটে এলাকার মাদিয়ান নানক পোস্ট দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে পাকিস্তানের ওই তিন জঙ্গি। গোয়েন্দা মারফৎ সেনাবাহিনীর কাছে খবর ছিল, জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করতে পারে। সেই মতো তৈরি ছিলেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। এই অনুপ্রবেশের চেষ্টার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করা হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফে।
জনসংযোগ আধিকারিক মুসাভি বলেছেন, “অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে ২৪ অগস্ট বিকাল থেকেই তৈরি ছিলেন জওয়ানরা। সীমান্তরেখার বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। ইলেক্ট্রনিক নজরদারিও চালানো হচ্ছিল। ২৫ অগস্ট সকাল ৭টার দিকে তিন জঙ্গির অনুপ্রবেশের চেষ্টা ধরা পড়ে।” জঙ্গিরা গায়ে পুরু গাছপালা জড়িয়ে মেঘ-বৃষ্টির আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, “২৫ অগস্ট সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ নিয়ন্ত্রণরেখার ভারতীয় প্রান্তে জঙ্গিদের আটকায় ভারতীয় সেনা। সেখানে দু’পক্ষের মধ্য প্রবল গুলির লড়াই হয়। সেই গুলির লড়াইয়ের মৃত্যু হয়েছে তিন পাক জঙ্গির।” এর পর ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তিন জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের থেকে ২টি একে রাইফেল, একটি চিনা এম-১৬ রাইফেল এবং যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, “ভারতীয় সেনার সফল অপারেশন কেবলে তিন জঙ্গির মৃত্যু নয়, পাশাপাশি জঙ্গি অনুপ্রবেশে করানোর ব্যাপারে পাকিস্তানের মদতের দিকটি উন্মোচিত হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি নষ্ট করতে পাকিস্তানের মদতের বিষয়টি সামনে এসেছে এই ঘটনায়।”