ঝাড়খণ্ডেও বিজেপির সরকার ফেলার চক্রান্তের বিরুদ্ধে একজোট হতে আজ, শুক্রবার শরিক দলগুলিকে বৈঠকে ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। রাঁচিতে সোরেনে বাসভবনে ইউপিএ-র শরিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সোরেন। এই পরিস্থিতি কৌশল ঠিক করতে তাঁর এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফে হেমন্তর বিধানসভা সদস্যপদ খারিজের প্রস্তাবটি এখনও খামবন্দিই রয়েছে রাজ্যপালের অফিসে। রাজ্যপাল রমেশ বৈশের কোর্টেই এখন বল। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল এদিনই হেমন্তকে ডেকে পাঠাতে পারেন। যদিও শাসক জোটের তরফে জানানো হয়েছে, সরকার পতনের কোনও সম্ভাবনা নেই।
শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ইউপিএ-র শরিক দল। তাদের সঙ্গে রয়েছে কংগ্রেসও। জেএমএম নেতৃত্ব জানিয়েছে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত হেমন্ত সোরেনই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, এ ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী। তারা এও জানিয়েছে, হেমন্তর বিধায়ক পদ খারিজ হলে দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে। প্রসঙ্গত, ৮২ সদস্য বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএমের ৩০, কংগ্রেসের ১৭ জন নিয়ে মোট ৪২ জন বিধায়ক ইউপিএতে আছেন। এছাড়াও কয়েকটি দলের সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির সদস্য সংখ্যা মাত্র ২৫। তারা অবশ্য বিধানসভা ভেঙে দিয়ে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছে।
হেমন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর নামে পাথরের খনি রয়েছে। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী লাভজনক পদের অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ৷ তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হলে হেমন্তকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকেও ইস্তফা দিতে হবে৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? নিয়ম অনুযায়ী, তাঁকে ছ’মাসের মধ্যে ফের নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে৷ কাজেই ছয় মাস সময় এখনও আছে হেমন্তের৷ অন্যদিকে, একটি সূত্রের দাবি, হেমন্তের স্ত্রী কল্পনাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে৷ আবার কেউ কেউ বলছেন, মা রূপী সোরেনকে বকলমা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বসানো হতে পারে। কারণ, স্ত্রী কল্পনা ঝাড়খণ্ডের তফসিলি উপজাতিভুক্ত নন। তাই নিয়ে বিজেপি রুখে দাঁড়াতে পারে। কল্পনা বাবা-মা ময়ূরভঞ্জের লোক।