দেবীর পায়ের কাছে লুটোপুটি খাচ্ছে ভাইরাসুর। পুজোর কুমোরটুলিতে নয়া চমক। মৃৎশিল্পী জানিয়েছেন, এবার ভাইরাসুরকে বধ করবেন দেবী দুর্গা। আমাদের বিশ্বাস রোগমুক্ত হবে পৃথিবী। তবে সকলেই যাতে ভ্যাকসিন নেন ও করোনা বিধি মেনে চলেন তার অনুরোধ করা হচ্ছে। পায়ের কাছে লুটোপুটি খাচ্ছে ভাইরাস অসুর। একেবারে লুটিয়ে পড়া অবস্থা। শক্তি বলতে কিছু আর অবশিষ্ট নেই। তবু দাঁত মুখ খিঁচিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা। আর সেই ভাইরাস অসুরকেই বধ করছেন দেবী দুর্গা। রোগমুক্ত হবে গোটা বিশ্বচরাচর। মঙ্গলময়ী দেবীর আগমনে নতুন করে জীবন গড়ার ডাক। সেই ভাইরাস অসুরই এবার কুমোরটুলির নয়া চমক। অশুভের বিনাশ আর শুভ শক্তির জাগরণ। দেবীর মর্ত্যে আগমনের সঙ্গে এভাবেই অশুভের বিনাশ হোক, আশা করেন বঙ্গবাসী। গত কয়েকবছর ধরে করোনার ভয়াবহ দাপট দেখেছে গোটা বিশ্ব। দুর্গাপুজোর আয়োজনেও তার প্রভাব পড়েছিল। তবে এবার চিত্রটা কিছুটা বদলেছে। এবার আবার পুজোর জাঁকজমক কিছুটা বাড়তে পারে। আর সেই পরিস্থিতিতে অসুরের রূপেও বদল আনলেন কলকাতার কুমোরটুলির চিত্রশিল্পী ইন্দ্রজিৎ পাল। আসলে প্রতিবারই অসুর নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেন ইন্দ্রজিৎ পাল।
উল্লেখ্য, করোনার যখন প্রবল দাপট তখন তাঁর তৈরির অসুরের নাম ছিল করোনাসুর। একেবারে কুচকুচে কালো রঙ। ভয়াবহ তার চেহারা। সেই অসুরকেও বধ করেছিলেন দেবী। পরের বছর তাঁর তৈরি অসুরের নাম হল ডেলটাসুর। সেবার ডেলটা ভাইরাসের দাপট। চারদিকে করোনাকে ঘিরে তখনও আতঙ্ক। সেই ডেলটাসুরের গায়ের রঙ ছিল স্টিল কালারের। কিন্তু রক্তবীজ থেকে যেভাবে অসুরের জন্ম হয়েছে পুরাণ মতে সেভাবেই বার বার ফিরে এসেছে করোনার দাপট। এরপর ধাপে ধাপে ভ্যাকসিন নিতে শুরু করেন সকলেই। ধাপে ধাপে কমতে থাকে করোনার দাপট। আর এবার ২০২২। ইন্দ্রজিৎ পালের তৈরি অসুরের নাম ভাইরাসুর। চুল সব খোঁচাখোঁচা। সারা গায়ে অদ্ভুত সব আকৃতি। গায়ের রঙ ফ্যাকাসে। মৃৎশিল্পী হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, এবার ভাইরাসুরকে বধ করবেন দেবী দুর্গা। আমাদের বিশ্বাস রোগমুক্ত হবে পৃথিবী। তবে সকলেই যাতে ভ্যাকসিন নেন ও করোনা বিধি মেনে চলেন তার অনুরোধ করা হচ্ছে।