একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে মুষল পর্ব চলছে! সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ— নানা ভাবে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে দলেরই অন্য অংশকে। একের পর এক পুরভোট, উপনির্বাচনে হারের পর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বড় চেহারা নিয়েছে। এরই মধ্যে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে নিজের দলকেই বড়সড় বিতর্কের মুখে ফেলে দিয়েছেন। তাঁর সিবিআই নিয়ে করা মন্তব্য একদিকে যেমন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষুব্ধ করেছে তেমনি দলের বেহাল দশা প্রকাশ্যেই তুলে ধরায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও অখুশি করেছে। এবার এই ধরনের ঘটনার রাশ টানতে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, বাংলায় শুধু দিলীপই নয়, দলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে একের পর এক নেতা, বিধায়ক ও সাংসদরা একাধিক ইস্যুতে বিভিন্ন ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছেন। এই অবস্থায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংবাদমাধ্যমে সামনে কে কীভাবে মুখ খুলবেন এবার তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্রদের পাশাপাশি নেতা, বিধায়ক ও সাংসদদের। সেই সঙ্গে কিছু বিধিনিষেধও কার্যকর করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল যাতে অন্তত ৫০ হাজার আসনে প্রার্থী দিতে পারে সেই দিকেও বার্তা দেওয়া হবে এই প্রশিক্ষণ বৈঠক থেকে।