কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ বিল্ডিং নির্মাণের দুর্নীতির তদন্তে এবার কোমর বেঁধে মাঠে নামল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হল কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে’কে। যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চাপানউতর। সূত্রের খবর,বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ কাঁথি থানার পুলিশের পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল কাঁথি কলেজে হাজির হন৷ এরপর কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে’কে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, বেশ কয়েক বছর ধরে কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। সেই সময় বিল্ডিং নির্মাণ ও ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের কথা জানিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী আবু সোহেল।
এদিকে হাইকোর্টের তরফে আগে এ মামলার তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তারপর থেকে আর পুলিশি তদন্ত বেশিদূর এগোয়নি। তবে বর্তমানে আদালতের তরফে দ্রুত সবরকমের নথি হাইকোর্টে জমা দিতে বলা হয়। এরপরেই ফের জোরদার তদন্তে নামে কাঁথি থানার পুলিশ। যদিও পুলিশের এই পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে। তিনি বলেন, ‘নতুন করে কি হয়েছে, আমি তা জানি না৷ আজ কাঁথি থানা থেকে একজন পুলিশ অফিসার এসে বলেন আপনি রুম থেকে বের হতে পারবেন না। তখন আমি আমি আশ্চর্য হয়ে যাই৷ এখানে কোনও যা কিছু হয়েছে সবকিছুই নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে৷ সরকারি নিয়ম মেনেই ই-টেন্ডার করা হয়েছে৷ গত জানুয়ারী থেকে তদন্ত চলছে। কী কারনে পুলিশ এল তা জানি না’।
ঘটনা প্রসঙ্গে কাঁথি মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, ‘কলেজের বিল্ডিং দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উঠে গিয়েছে। তাই তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে’৷