নীতীশ কুমার সঙ্গ ছেড়ে দেওয়ায় বিহারে ভালমতোই ধাক্কা খেতে চলেছে বিজেপি। আগের বারের তুলনায় গোবলয়ের এই রাজ্যটিতে অনেকটা কমে যেতে পারে বিজেপির আসন সংখ্যা। অন্তত তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে এক সমীক্ষক সংস্থার সমীক্ষায়। ওই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে বিহারের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তেজস্বী যাদব। নীতীশ কুমারের থেকে তেজস্বীকে অনেক বেশি মানুষ মুখ্যমন্ত্রী পদে চাইছে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি এবং নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ। মোট ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টিই গিয়েছিল তাঁদের দখলে। এরপর অবশ্য ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে এই অঙ্কটা খানিকটা বদলে যায়। সমীক্ষক সংস্থা সি-ভোটারের দাবি, নীতীশ বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে আরজেডির হাত ধরায় বিহারের সমীকরণ এখন পুরোপুরি ইউপিএর দিকে ঝুঁকে।
এখনই ভোট হলে বিহারে এনডিএ-র ভোট কমবে ১৩ শতাংশ। তাঁরা পাবে ৪১ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে এখনই ভোট হলে মহাজোটের ভোট বাড়বে প্রায় ১৫ শতাংশ। তাঁরা পাবে ৪৬ শতাংশ ভোট। শুধু ভোটের হার নয়, আসনের ভিত্তিতেও বিরাট ধাক্কা খেতে পারে এনডিএ। আগেরবার যেখানে ৩৯টি আসন গিয়েছিল এনডিএ’র দখলে এবার সেখানে এনডিএ পেতে পারে বড়জোর ১৪টি আসন। আর মহাজোটের আসনসংখ্যা ১ থেকে বেড়ে হয়ে যেতে পারে ২৬।
তবে নীতীশ কুমারের জন্য দুসংসবাদও আছে। বারবার শিবির বদল করায় তাঁর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিতে ধাক্কা লেগেছে। সমীক্ষা বলছে, নীতীশ আর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানুষের প্রথম পছন্দ নন। সেই লড়াইয়ে তাঁকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন তেজস্বী যাদব। সমীক্ষা অনুযায়ী, বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ৪৩ শতাংশ মানুষের পছন্দ তেজস্বীকে। আর নীতীশকে পছন্দ ২৪ শতাংশ মানুষের। বিজেপির কোনও নেতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে দেখতে চাইছেন মাত্র ১৯ শতাংশ মানুষ। মহিলা, ওবিসি, মুসলিম সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তেজস্বী যাদব।