বাংলা অন্যতম ঐতিহ্যের পরিচায়ক পুরুলিয়ার ছৌ নাচ। এর অন্যতম আকর্ষণ হল মুখোশ। এবার সেই মুখোশের জি আই ট্যাগ পেল বাংলার চড়িদা গ্রাম। স্থানীয়দের মুখে গ্রামটি ছৌ-এর গ্রাম নামেই পরিচিত। এবার সেই গ্রামই ছৌ মুখোশের জন্যে জি আই স্বীকৃতি পেল। বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই এই দাবি উঠতে শুরু করেছিল। বাঘমুন্ডি রাজপরিবারের দুর্গাপুজোর প্রতিমা গড়তে এসেছিলেন বর্ধমানের সূত্রধরেরা। তাদের মাধ্যমেই মুখোশের প্রচলন শুরু হয়েছিল। প্রায় দুই শতাব্দী ধরে পুরুলিয়ার সংস্কৃতিতে মিশে গিয়েছে ছৌ নাচ।
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সভাকক্ষে, ৮ই আগস্ট সেই বাঘমুন্ডির ব্লকের ছৌ-মুখোশ প্রস্তুতকারী শিল্পীদের হাতে মুখোশের জিআই প্রাপ্তির শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দফতরের উদ্যোগে এবং পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বাংলার জিআই ট্যাগ প্রাপ্ত জিনিসের তালিকায় নতুন এক সংযোজন ঘটল। বাংলা তথ্য প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দফতরের ব্যবস্থাপনায় ৩১ জন ছৌ মুখোশ শিল্পীর হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়েছে। ৫৬৫ নম্বর যুক্ত শংসাপত্র পেয়েছেন তারা। এবার থেকে তারা বিশ্বের যেকোনও বাজারে নিজেদের তৈরি মুখোশ বিক্রি করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমেও জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারবেন তাঁরা।