কয়েকদিন আগেই এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ আর তার পর পরই তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়। দলনেত্রীর নির্দেশে সমস্ত দলীয় পদ থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে তৃণমূল৷ এবার বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে মন্ত্রীদের বসার জায়গা থেকেও সরতে চলেছে পার্থর নাম। এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপর? জামিন নাকি জেল হেফাজত? ইডি হেফাজত শেষে কী রয়েছে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ভাগ্যে? সওয়াল জবাব শেষে রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারক। তবে শুনানি চলাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ওঠা প্রভাবশালী তত্ত্ব খারিজে জোর প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী কৃষ্ণচন্দ্র দাসের। শুক্রবার আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর মন্ত্রী নন। কোনও দলীয় পদেও নেই। তিনি এখন শুধুই একজন বিধায়ক। আর সেই পদ থেকেও ইস্তফা দিতে রাজি। সরকারি আইনজীবীর দাবি, অর্পিতা উচ্চশিক্ষিত। তাঁর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। তাই খাবার ও জল পরীক্ষা করে দিতে হবে। ‘প্রথম শ্রেণির কয়েদি’ হিসাবে জেলে রাখার আবেদন অর্পিতার আইনজীবী সোহম বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ইডি’র আইনজীবী জানান, ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি একটি ডিড তৈরি হয়েছিল। অনন্ত টেক অ্যাপ লিমিটেড সংস্থার নামে শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। ওই ডিডে অর্পিতার বেলঘরিয়ার রথতলার ফ্ল্যাটের ঠিকানা উল্লেখ ছিল। ওই সংস্থার মাধ্যমে অর্পিতা ও পার্থর পরিবারের মধ্যে শেয়ার কেনাবেচার প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং একটি ট্রাস্টের খোঁজ মিলেছে। ৩১টি এলআইসির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। অর্পিতার নামে থাকা ওই এলআইসি পলিসিগুলির নমিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কীভাবে অর্পিতার এলআইসি’র নমিনি পার্থ হলেন, সে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। পালটা ইডি’র তরফে জানানো হয়েছে, সে তথ্য কেবলমাত্র লাইফ ইন্সিওরেন্স কর্পোরেশনই দিতে পারে। এছাড়াও আদালতে ইডি’র আইনজীবী জানান, এখনও অ্যাকাউন্টের ফরেনসিক অডিট করতে হবে। পার্থের সিজার লিস্ট খতিয়ে দেখে ভবিষ্যতে কথাবার্তা বলার প্রয়োজন রয়েছে। তাই দু’জনকে জেল হেফাজতে রেখে আরও জেরার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবীর।