বিগত দু’বছর করোনা মহামারীর জেরে ভার্চুয়ালি শহিদ দিবস পালন করেছিল তৃণমূল। ফলে ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের বিপুল জনসমাগম দেখা যায়নি। কিন্তু চলতি বছরে সংক্রমণ আয়ত্তে থাকায় আগের মতোই ফের বিশাল জনসমাগমের সঙ্গে শহিদ দিবস পালন করছে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে এসে উপস্থিত হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মঞ্চে ওঠার আগে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান তিনি। সভাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন মুকুল রায়ও। বক্তব্য রাখতে উঠে সৌগত রায় এদিন বলেন, “আগামী দিনে কমপক্ষে ১০টি রাজ্যে ক্ষমতা বিস্তার করবে তৃণমূল। এখনও লোকসভা নির্বাচনের লড়াই বাকি রয়েছে।”
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, ‘অত্যন্ত আপ্লুত। দু’তিন দিন আগে জেলাগুলি থেকে সাধারণ মানুষ আসছেন। মানুষ দিদির বার্তার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। আমাদের কাছে আজকের দিনটা শহিদদের স্মরণ করার দিন। পাশাপাশি আজ দলীয় শক্তি প্রদর্শনেরও একটা প্ল্যাটফর্ম। আমরা মানুষকে বোঝাতে চাই যে তৃণমূল সবসময় তাদের পাশে রয়েছে।’ অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে পারি স্বাধীনতার পরে এত বড় সমাবেশ হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই সোনিয়া গান্ধীকে ইডির তলব।’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বৃষ্টি নামছে। আমাদের আর্শীবাদ করেন বরুণদেব। আজ আমাদের পথ দেখাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বার্তা দেবেন দলের উদ্দেশ্যে। এই কটি কথা বলে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।’ আবার, আসানসোলের সাংসদ বক্তব্য রাখতে উঠেই বলেন, ‘বহৎ জান হ্যায় ইস সভা মে। আজ আপনাদের সময় কাল আমাদের সময় আসবে।’ পাশাপাশি পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং অগ্নিপথ স্কিমের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি।