এটাই কি তাহলে একুশে জুলাইয়ের চমক? বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন বরুণ গান্ধী এবং মানেকা গান্ধী। এরপরই শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কী একুশের মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দেবেন বরুণ-মানেকা?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, তাঁরা ব্যক্তিগত কাজেও কলকাতায় এসে থাকতে পারেন। কিন্তু যে দিনে তাঁরা কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন, সেইদিক থেকে ঘটনাটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা। তবে এই নিয়ে মুখ খোলেননি তৃণমূল নেতৃত্ব।
মানেকা গান্ধী ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর থেকে জিতেছিলেন। ছেলে বরুণ জিতেছিলেন পিলিভিট থেকে। বৃহস্পতিবারের বারবেলায় যদি সত্যিই গান্ধী পরিবারের মা-ছেলে তৃণমূলে সামিল হন তাহলে যোগীরাজ্যের বিজেপিতেও ভাঙন ধরিয়ে দিতে পারবে তৃণমূল।
গত কয়েক মাস ধরেই বরুণ গান্ধী কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব। সে কৃষি আইন হোক কিংবা অগ্নিপথ প্রকল্প। মানেকা মুখ না খুললেও, ক্ষোভ উগরে দিতেন বরুণ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে অতিরিক্ত জিএসটি চাপানো নিয়েও সরব হন বরুণ। এদিন ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ঘিরে বিজেপি বিরোধী স্বর আরও জমাট বাঁধতে চলেছে ধর্মতলায়। ঠিক সেদিনই কলকাতায় পা রাখলেন বরুণ-মানেকা। তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন কিনা তা জানতে আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা।