বিগত দু’বছর করোনা মহামারীর জেরে ভার্চুয়ালি শহিদ দিবস পালন করেছিল তৃণমূল। ফলে ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের বিপুল জনসমাগম দেখা যায়নি। কিন্তু চলতি বছরে সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত আয়ত্তে থাকায়, বিশাল জনসমাগমের সঙ্গে শহিদ দিবস পালনের পরিকল্পনা করেছে ঘাসফুল শিবির। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার ছোট থেকে বড় তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা শহিদ দিবসের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছেন। চলছে পথসভা, মিছিল, দেওয়াল লিখন, কর্মীসভা। তবে এবারে একুশের সমাবেশে ধর্মতলায় নামতে পারে ‘বাংলার মেয়ে’দের ঢল।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সরকারের প্রত্যাবর্তনে মহিলা ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর ছিল বলে জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে মহিলাকূলের। মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প এর পিছনে অন্যতম বড় কারণ বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের এই মত যে ভুল নয়, তা প্রমাণ হল দুর্গাপুরের একটি কর্মী সভার মাধ্যমে। আসন্ন একুশে জুলাইকে সামনে রেখে দুর্গাপুরের শ্যামপুরে একটি কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে দলের প্রায় তিনশোরও বেশি কর্মী অংশগ্রহণ করেছিলেন। এবং তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা কর্মী সমর্থক। জানা গিয়েছে, তাঁরা সকলেই একুশে জুলাই ধর্মতলার শহিদ স্মরণ সমাবেশেও হাজির হবেন। পাশাপাশি শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুর থেকে দলের অন্যান্য কর্মী সমর্থকদের ধর্মতলা নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর পুরসভার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কা পাঁজার উদ্যোগে ওই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। যেখানে জেলা তৃণমূলের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা নেত্রী হাজির হয়েছিলেন। তবে সেখানে উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে মহিলা কর্মী, সমর্থকদের। যা রীতিমতো নজর কেটেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা বলছেন, একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় এই বিপুল পরিমাণ মহিলা কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে, তৃণমূলের ভোট ব্যাংকে মহিলা কর্মী সমর্থকদের গুরুত্ব কতটা। তাঁদের দাবি, চলতি বছরের শহিদ স্মরণ সমাবেশে মহিলাদের উপস্থিতি অনেকটাই বেশি হবে। কারণ তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূলত মহিলাদের কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু করেছেন। যার মধ্যে লক্ষীর ভান্ডার অন্যতম। তাছাড়া বাড়ির মহিলা সদস্যদের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়া বর্তমান রাজ্য সরকারের অন্যতম একটি মাস্টারস্ট্রোক।