বুধবার রাতেই ফেসবুক লাইভে এসে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর এই ঘোষণার পরই শিন্ডে শিবিরের অনেকের চোখে-মুখেই উচ্ছাস ধরা পড়ে। মিষ্টিমুখও করানো হয় পদ্মশিবিরে। তবে উদ্ধবের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ায় অধিকাংশ বিক্ষুব্ধ বিধায়কই অখুশি, এমনটাই সূত্রের খবর।
দীপক কেশরকর একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘উদ্ধব ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা আমাদের জন্য মোটেও খুশির খবর নয়। আমরা যে সব সমস্যা ও অভিযোগ তুলে ধরেছিলাম, তাতে গুরুত্ব দেননি উদ্ধব, তবে আমরা সকলেই দুঃখিত যে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে লড়তে গিয়ে আমরা নিজেদের নেতার উপরও রাগ করে ফেললাম’।
সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে যে বিদ্রোহ শুরু করেছিল বিক্ষুব্ধ বিধায়করা, তার জেরেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। একদিকে একনাথ শিন্ডে যেমন জানিয়েছিলেন,বালা সাহেব ঠাকরের দেখানো হিন্দুত্ববাদের মন্ত্র অনুসরণ করে চলতে যান, সেখানেই বিক্ষুব্ধ বিধায়করা প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছিলেন যে, এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট থেকে বেরিয়ে আসুক শিবসেনা। তার বদলে সমমনোভাবাপন্ন বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধুক শিবসেনা। তবে এই প্রস্তাবে গররাজি ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বার্তায় তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এর আগে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার মাশুল চোকাতে হয়েছিল শিবসেনাকে। ফের কীভানে তাদেরই বিশ্বাস করা সম্ভব?
বিক্ষুব্ধ শিবসেনা নেতা জানান, উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁদের কোনও সমস্য়া ছিল না। এনসিপি-কংনিজেদের নেতার উপরেই রাগ করে বসলাম আমরা – বিদ্রোহ করে কী পস্তাচ্ছেন শিবসেনার বিক্ষুদ্ধ বিধায়করাগ্রেসের সঙ্গে জোটেরই বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরা। দলের অন্দরে বিভেদ বাড়ার জন্য দলের মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকেও দোষারোপ করেন। এই প্রসঙ্গে দীপক কেশরকর বলেন, ‘অনেক সাংসদও রয়েছেন, যারা কংগ্রেস ও এনসিপির জন্য দলের উপরে রাগ করে রয়েছেন। এনসিপির রাজ্য সভাপতি আমাদের এলাকায় গিয়ে নিজেদের দলের কর্মীদের নাম ঘোষণা করেন। আমাদের জন্য এই সমস্ত মানুষ ক্ষমতায় এসেছে… প্রত্যেকদিন সঞ্জয় রাউত যখন কেন্দ্রকে গালমন্দ করেছে, তখন সাধারণ মানুষ দুঃখই পেয়েছেন। আমরা প্রার্থনা করেছিলাম যে কোনও দলের যেন এমন মুখপাত্র না থাকে’।
Read: কয়েক ঘণ্টায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে,ভিজবে কলকাতাও! – পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
Tweet: কয়েক ঘণ্টায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে,ভিজবে কলকাতাও! – পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
Maharashtra Crisis