মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিলেও, মহারাষ্ট্রের গদি টানাটানি এখনও শেষ হয়নি। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়েই চাপে রয়েছেন বিজেপি নেতারা। গুয়াহাটিতে যে সমস্ত বিধায়করা বিগত এক সপ্তাহ ধরে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন, তাদের আজ মুম্বই ফেরার কথা ছিল। কিন্তু মহারাষ্ট্রের বিজেপি প্রধান চন্দ্রকান্ত পাটিল ওই বিধায়কদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যে, আপাতত তারা যেন মুম্বই না ফেরেন। নতুন সরকার যেদিন শপথ গ্রহণ করবে, সেইদিনই যেন তারা মহারাষ্ট্রে ফেরেন। অন্যদিকে, সরকার গঠন নিয়ে আজই বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
গতকালই গুয়াহাটি থেকে গোয়ায় যাওয়ার কথা ছিল শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের। বুধবার সকালে গুয়াহাটির কামাক্ষ্যা মন্দিরে পুজো দেন একনাথ শিন্ডে সহ বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী নেতা। এরপর তারা গোয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু মাঝ পথ থেকেই তারা ফেরত চলে আসেন গুয়াহাটির হোটেলে। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্বের তরফেই শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের সুপ্রিম কোর্টের শুনানি না হওয়া অবধি আসামে থেকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শেষ অবধি সন্ধে ৭টা নাগাদ গোয়ার উদ্দেশে রওনা দেন বিধায়করা। চার্টার্ড ফ্লাইটে করে তাদের গোয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তাদের একটি পাঁচতারা হোটেলে রাখা হয়েছে। ওই হোটেলের ৭০টি রুম বুক করা হয়েছে।
এদিকে, বিজেপি নেতা চন্দ্রকান্ত পাটিল শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের আপাতত মুম্বইয়ে ফিরতে বারণ করেছেন। সূত্রের খবর, এখন রাজ্যে ফিরলে উদ্ধব ঠাকরের শিবির বিধায়কদের ভুল বুঝিয়ে ফের নিজের দলে টেনে নিতে পারেন। সেই কারণেই শিবসেনা নেতাদের রাজ্যে ফিরতে বারণ করা হয়েছে। একেবারে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের দিনই যেন তারা রাজ্যে ফেরেন। আগামী শুক্রবারই নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করতে পারে। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন একনাথ শিন্ডে, এমনটাই সূত্রের খবর।