নীতীশের নীরবতা। ভাঙনের ইঙ্গিত? বিহারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জোর চর্চা রাজধানীতে। ‘অগ্নিপথ’ নিয়োগ বিতর্কই কি আলাদা করবে জোটসঙ্গী বিজেডি ও বিজেপির পথ? শেষপর্যন্ত আরও একবার তেজস্বী যাদবের সঙ্গে হাত মেলাবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী? এসব প্রশ্নই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষনেতাদের।
পরিস্থিতি একটু ঠান্ডা হলেই নীতীশের সঙ্গে কথা বলবেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিংরা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগেই দু’পক্ষের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেনতেন প্রকারে জেডিইউর মতো জোটসঙ্গীকে হাতছাড়া না করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নীতীশের বিরুদ্ধে মুখ খোলা যাবে না। বিহার বিজেপি নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি।
শেষবার বিহারে জোটের সরকার গঠনের পর থেকেই নীতীশ কুমারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল। পরবর্তীকালে জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে জোটসঙ্গী বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল আরও চওড়া হয়। কার্যত দু’পক্ষের নেতাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। এবার জোটসঙ্গীর মধ্যে তৈরি হওয়া ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে। কারণ, অগ্নিপথ প্রকল্প। প্রকল্প ঘোষণার পর থেকে সবচেয়ে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে বিহারে। ট্রেন ভাঙচুর, অবরোধ, অগ্নিসংযোগ বা জোটসঙ্গী বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটলেও নিশ্চুপ থেকেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি।
রাজ্য বিজেপির নেতারা চিল চিৎকার জুড়লেও নীরবতাকেই হাতিয়ার করেছেন তিনি। নীতীশের নিশ্চুপ থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে সূত্রের খবর, বিজেপির জোটসঙ্গী হয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কোনও আলোচনা করা হয় না। সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়। সিদ্ধান্ত ঘোষণা হলে তার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হলে রাজ্যে পরিস্থিতির সামাল দিতে হয় তাঁর প্রশাসনকে। করোনার প্রথম ঢেউয়ে আচমকা লকডাউন, নোটবন্দী, জাতিভিত্তিক জনগণনা ও এবার অগ্নিপথ। কোনও ক্ষেত্রেই তাঁর সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব আলোচনা করেনি। তাই নীরব থেকে বিজেপির ‘দাদাগিরি’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতীশ।