পুলিশের চিরাচরিত কাজের বাইরে গিয়ে মানবিকতায় সামাজিক কাজে নজির রাখলেন আইসি সৌগত ঘোষ। অসুবিধায় পড়বে মানুষ। তাই বালতি, কোদাল জোগাড় করে রাতের অন্ধকারেই রাস্তা মেরামত করতে হাত লাগান খোদ আইসি। পুরুলিয়া থেকে সদ্য ক্যানিং থানায় বদলি হয়ে এসেছেন তিনি। থানার কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে এলাকায় টহলদারিতে বেরিযেছিলেন আইসি সৌগত ঘোষ। পুরুলিয়া থেকে সদ্য ক্যানিং থানায় বদলি হয়ে এসেছেন তিনি। ক্যানিংয়ের প্রত্যন্ত একটি গ্রামের বাজারে পার করে ছুটছিল তাঁদের গাড়িগুলো। খানিকটা এগোতেই দলবল নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন আইসি সৌগত ঘোষ। কারণ, যে রাস্তা দিয়ে তাঁরা যাচ্ছিলেন, গ্রামীণ সেই সরু রাস্তায় দু’দিকে পুকুর। রাস্তায় কিছুটা জায়গা যথেষ্ট অসমান। ফলে রাতের অন্ধকারে এই রাস্তায় দিয়ে যেতে গিয়ে বিপদ পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ।
এমনটা আঁচ করে নিজেরাই বালতি, কোদাল জোগাড় করে রাতের অন্ধকারেই রাস্তা মেরামত করতে হাত লাগান। এক পুলিসকর্মীর কথায়, এই রাস্তায় কাজ চলছে। কিন্তু রাতে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে লোকজন বিপদে পড়তে পারত। সেই পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ‘স্যার’ ওই উদ্যোগ নেন। সৌগত বাবু অবশ্য তাঁর পুরো কাজের কৃতিত্ব দিচ্ছেন সহকর্মী সিভিক ভলান্টিয়ারদের। তাঁর সহকর্মীরা বলছেন, দীর্ঘ সময় সিআইডিতে থাকাকালীন দুঁদে গোয়েন্দা হিসাবে নন্দীগ্রাম মামলা, শিশু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার সামলেছেন সৌগত ঘোষ। তবে পুলিশের চিরাচরিত কাজের বাইরে বরাবরই মানবিক বা সামাজিক কাজে অগ্রণী তিনি। পুরুলিয়াতে বড়বাজার থানায় থাকাকালীন ছোটো ছোটো বাচ্চাদের পড়ানো থেকে তাদের খাওয়ানো, পুজোর জামা কিনে দেওয়া- নিজের উদ্যোগেই করেছেন সবকিছু। তাঁর এধরনের মানবিক কাজেই নজির গড়েছেন সৌগত বাবু।