অগ্নিপথ প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। আর তারই প্রতিবাদে উত্তাল প্রায় গোটা দেশ। মোদী সরকারের ‘চুক্তিভিত্তিক সেনা’ নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্রমশই বিক্ষোভ দানা বাঁধছে রাজ্যে রাজ্যে। এই আবহেই এবার কেন্দ্রকে একহাত নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন ত্রিপুরায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপি সরকারের এটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। নোটবন্দিও পরিকল্পনাহীন ছিল। অগ্নিপথ প্রকল্পও অপরিকল্পিতভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। যারা বেনিফিশিয়ারি তাদের কথা না ভেবেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।’
একইসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যেরও তীব্র নিন্দা করেন অভিষেক। সেনাবাহিনীকে নিয়ে যারা কুরুচিকর মন্তব্য করেন তাঁদের দেশছাড়া করা উচিত বলেই দাবি তাঁর। অভিষেকের কথায়, ‘দেশের সেনাবাহিনী নিয়ে যারা এই ধরণের মন্তব্য করেন, তাঁকে দেশছাড়া করা উচিত। আমাদের দলের কোনও ব্যক্তি এহেন মন্তব্য করলে তাঁকে বহিষ্কার করতাম।’ কৈলাসের নাম না করে তিনি এ-ও বলেন, ‘ওঁর ছেলে বিধায়ক হয়ে পুলিশকে ব্যাট দিয়ে পেটাবে আর অগ্নিবীররা বিজেপি অফিসে দারোয়ান হবে! আমি এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি। এই ধরণের মন্তব্য করায় তাঁকে দেশছাড়া করা উচিত। তাঁর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া উচিত।’
একইসঙ্গে নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও বিঁধেছেন অভিষেক। তাঁর কটাক্ষ, ‘বিজেপি নেতার ছেলে বিসিসিআই সচিব হবেন, আর অগ্নিবীররা দারোয়ান! এই দ্বিচারিতা চলতে পারে না। ভারতীয় সেনা, আধাসেনা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছবিকে সামনে রেখে নির্বাচনে লড়ে ওরা। আর নির্বাচন মিটে গেলে বলেন, চার বছর পর চাকরি থেকে অব্যাহতির পর অগ্নিবীররা বিজেপির কার্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষী হবেন। এর থেকে লজ্জার কী হতে পারে! কেন, সাধারণ মানুষের ভাল জায়গায় চাকরি, সেনাবাহিনীতে দেশসেবার অধিকার নেই? আসলে ওদের উদ্দেশ্য এটাই। ২০২৪-এর তিন মাস আগে দরকার পড়বে! তাই এখন যা খুশি বলা যায়!’