দুবাই থেকে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়ে দিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও গতিবিধি নিয়মের বাইরে নয়। তিনি যেখানে যাওয়ার কথা বলেছিলেন, ঠিক সেখানেই গিয়েছেন। যেখানে থাকার কথা সেখানেই থেকেছেন। চোখের চিকিৎসার জন্য তিনবার ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন। ইডি সূত্রেও খবর, তাদের হাতেও যে তথ্য এসেছে তাতে পূর্বনির্দিষ্ট যেখানে থাকার কথা বা যাওয়ার কথা, ঠিক সেখানেই গিয়েছেন অভিষেক। কোথাও কোনও বেনিয়ম হয়নি। তৃণমূল সূত্রেও বক্তব্য, রাজনৈতিকভাবে লড়তে না পেরে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটাই স্পষ্ট হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, যেভাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে নজর রাখার কথা বলা হয়েছিল, তা আইনের বাইরে চরিত্র হনন। বস্তুত, অভিষেক টুইটেও সেই নজরদারির প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিঁধেছিলেন। লিখেছিলেন, ‘আমার উপর নজর রাখতে গিয়ে তারা ভুলে যাচ্ছে, গোটা ভারতই এখন তাদের দিকে নজর রাখছে।’ তিনি নীরব মোদী, বিজয় মালিয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কটাক্ষ করেছিলেন, তাঁর উপর যে নিষ্ঠা ও উৎসাহের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় সংস্থা নজর রাখছে, একই উৎসাহ দিয়ে নীরব-মালিয়ার উপর নজর রাখলে দেশের মানুষের ৩০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে যেত।
উল্লেখ্য, চোখের জরুরি চিকিৎসার জন্য অভিষেককে দুবাই যেতে বাধা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। উচ্চ আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর দুবাই যান অভিষেক। গত ৩ তারিখ দুবাই যান তিনি। আগে থেকেই ডাক্তারের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল তাঁর। সেইমতো তিনি চিকিৎসার জন্য খুব সুনির্দিষ্ট জায়গায় গিয়েছেন।
Read: প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল – প্রথম দিনহাটার অদিশা, পাশের হার ৮৮ শতাংশের বেশি
Twitter: প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল – প্রথম দিনহাটার অদিশা, পাশের হার ৮৮ শতাংশের বেশি
Abhisek Banerjee